বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য ও ছাত্র কোটাও বাতিলের দাবি ঢাবি শিক্ষকের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন  © ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। সে অনুযায়ী, আজ শনিবার (৬ জুলাই) দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করা হবে। রোববার থেকে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও দু’টি কোটা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা, শিক্ষক নিয়োগে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অলিখিত কোটাসহ সকল প্রকার কোটা বাতিল করুন।’

চার দাবিতে আন্দোলন করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। দাবিগুলো হলো-২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। 

আরো পড়ুন: শিক্ষকদের পর এবার শিক্ষার্থীদেরও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। এ ছাড়া সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শুন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

সর্বশেষ সংবাদ