ঈদে আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য চবি প্রশাসনের নেই কোনো আয়োজন

চবি ক্যাম্পাস
চবি ক্যাম্পাস  © ফাইল ফটো

আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) পালিত হবে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে দীর্ঘ ৭ বছর আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দ না থাকায় ঈদে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা রাখেনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই বাড়ি ফিরেছেন। তবে অনেকের একাডেমিক ব্যস্ততা (ফাইনাল পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়াল) বিসিএস, চাকরির পরীক্ষা ইত্যাদি থাকায় এক থেকে দেড়শ শিক্ষার্থী হলেই অবস্থান করছেন। তবে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাখা হয়নি কোনো বিশেষ আয়োজন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, ঈদের ছুটির পরদিনই টিউটোরিয়াল। অ্যাসাইনমেন্ট তো আছেই। কয়দিন পর আবার ফাইনাল পরীক্ষা। সেই সাথে ক্যাম্পাস থেকে বাড়িতে আসতে যেতে লেগে যায় ৩ থেকে ৪ দিন। সেজন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাড়ি যাওয়া হয়নি। হলের পাশের ক্যান্টিন বন্ধ, হোটেলগুলোও বন্ধ। খাবার নিয়ে টেনশনে থাকতে হয়। ঈদ উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ কোনো আয়োজন থাকলে আমরা যারা হলে অবস্থান করছি তাদের জন্য ভালো হতো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টি খাসি জবাই করা হচ্ছে বলে শুনেছি। এদিকে আমাদের চবিতে কোনো আয়োজনই রাখা হয়নি। এটা বৈষম্য। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ.এফ. রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী বলেন, উপাচার্যের সাথে সকল হলের প্রভোস্টদের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হলগুলোতে আসন বরাদ্দ না থাকায় অফিসিয়ালি ঈদে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা জানি না কতজন শিক্ষার্থী বৈধভাবে হলে অবস্থান করছে। বৈধভাবে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করলে আমরা হয়ত প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে দাবি জানাতে পারতাম। এছাড়া আলাদাভাবে প্রভোস্টদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের সামর্থ্য নেই।

প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। হলের পক্ষ থেকে আমরা কিছুটা ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু এবার হলে বৈধ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা না জানার কারণে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। আমরা মেয়ের হলে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সেটা ছেলেদের হলেও প্রভাব পড়বে তাই কোন ব্যবস্থা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. অহিদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমাদের মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। আসন বরাদ্দ না থাকায় আমরা বুঝতে পারছি না কতজন শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করে।


সর্বশেষ সংবাদ