ছাত্রীকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ফেল করানোর অভিযোগ চবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ১০:০৫ PM , আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ১০:০৮ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীর ফলাফল পরিবর্তন করে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি বিষয়ে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভাগটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (৫ জুন) কোর্স টিচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করলে বিষয়টি সামনে আসে।
আবেদন পত্রে ভুক্তভোগী ছাত্রী উল্লেখ করেন, আমি চবির রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ৪র্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। গত ৪ জুন আমার ৩য় বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়। আমি একটি কোর্স ব্যতিত (Chem-3203) A+ থেকে A- মধ্যে পাই। কিন্তু Chem-3203 কোর্সে আমাকে F গ্রেড (ফেল) দেওয়া হয়। আমার দেওয়া পরীক্ষার সাথে এই ফলাফল কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, কারণ এই পরীক্ষায় আমি পূর্ণ নম্বরের উত্তর দিয়েছি। এমনকি আমার গত দুই বছরে সকল থিওরি কোর্সে A+ থেকে A- গ্রেডের মধ্যে পাই।
অভিযোগকারী আরও উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অযাচিতভাবে মানসিক চাপ প্রয়োগ ও গভীর রাতে ফোন দিয়ে উত্যক্ত করার অভিযোগ দেন এবং তখন বিভাগের শিক্ষকরা আশ্বস্ত করেছিলেন এর প্রভাব ফলাফলে পড়বে না। কিন্তু ছাত্রীর অভিযোগ Chem-3202 এর কোর্স টিচার প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এই কোর্সে ফেল করিয়ে দেন। এমতাবস্থায় অভিযোগকারী খুবই হতাশ এবং মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন বলেও উল্লেখ করেন।
আবেদনের শেষে এই কোর্সের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে যদি অভিযুক্ত শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, একটি কোর্স দুইজন শিক্ষকের সমন্বয়ে পড়ানো হয় এবং খাতা মূল্যায়নও দুজন শিক্ষকই করেন। তাহলে আমি কিভাবে ওই ছাত্রীকে ফেল করাতে পারি? আর তাছাড়া পরীক্ষার খাতাতে কারো নাম থাকে না কোডিং সিস্টেম থাকে। আমাদের চোখ বন্ধ করে খাতা মূল্যায়ন করতে হয়। সুতরাং এটা শুধুই অভিযোগ। এ বিষয়ে আমার এর বেশি কিছু বলার নেই।
ছাত্রীর অভিযোগ ও পুনঃনিরীক্ষণের বিষয়ে চবি রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশিস পালিত বলেন, এটি বিভাগীয় সভাপতির বিষয় নয়। পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দীনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।