জাবিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নওগাঁ থেকে এবার গ্রেপ্তার সহায়তাকারী মুরাদ
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১১ PM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৫ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সহায়তাকারী মো. মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে মূল পরিকল্পনাকারী মামুনকে ফার্মগেট থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার এএসপি আল আমিন।
এ ঘটনায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি জাবি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির হাসান সাগর, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি ৪ জনকে আদালতে নেওয়া হলে, আদালত প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে নিয়ে আসেন মামুন। তার স্বামী অভিযুক্ত মামুনকে জানান, তারা কিছু আসবাবপত্র কিনবেন। তখন মামুন তাকে বলেন, এক আসবাবপত্র দোকানে তার টাকা পাওনা আছে, কিন্তু দোকানদার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। ওই দোকান থেকে আসবাবপত্র কিনে টাকাটা যাতে মামুনকে দেওয়া হয়। তাকে নিয়ে দোকানে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর স্বামীর।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘মামুন আমাদের বাসায় ভাড়া থাকত। তিনি আমার স্বামীর মাধ্যমে কল দিয়ে আমাকে তার রেখে যাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বলেন। আমি তার জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। তখন তিনি আমাদের বাসায় থাকবেন না বলে জানান। এছাড়া তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের মোস্তাফিজের কাছে থাকবে বলেও জানান।’
এরপর মোস্তাফিজ ও মামুন মিলে ভুক্তভোগীর স্বামীকে মীর মশাররফ হোসেন হলে আটকে রাখেন। পরে জামা-কাপড় নিয়ে ওই নারী ক্যাম্পাসে আসলে তার কাছ থেকে সেগুলো নিয়ে কক্ষে রেখে আসতে যান মামুন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘পরে আমার স্বামী অন্যদিকে থেকে আসবে বলে আমাকে হলের সামনে থেকে পাশের জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে মোস্তাফিজও ছিল। তখন তারা আমাকে ধর্ষণ করে।’
জানা যায়, মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান থাকতেন। এ বিষয়ে হলের একাধিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতারা জানান, মোস্তাফিজুরের সঙ্গে মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াবার ব্যবসা করতেন। মামুন প্রায়ই হলে যাতায়াত করতেন।