ছাত্রলীগ পরিচয়ে ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে কর্মচারীকে কলার ধরে মারধর
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৫২ PM , আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৭ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের (মূল প্রশাসনিক ভবন) এক কর্মচারীকে কলার চেপে ধরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম তানভীর শিকদার। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের সভাপতি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসের অ্যাটেনডেন্ট ভুক্তভোগী মুকুল মিয়া।
লিখিত অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী বলেন, এসএম হল ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে তানভীর শিকদার আমাকে একটি প্রিন্ট দেওয়ার কথা বলে। শিক্ষার্থীদের প্রিন্ট দেওয়ার নিয়ম নেই বলে জানালে তানভীর তৎক্ষণাৎ আমার কলার চেপে ধরে মারধর করেন। এসময় তিনি অফিস প্রধান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সাথেও অসদাচরণ করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তানভীর শিকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মারধরের হুমকি প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে গিয়েছিলাম। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে যাইনি। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে হয়রানির শিকার হয়ে প্রতিবাদ করেছি। এর বাইরে কিছু না। তবে সেখানে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি করার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুকুল মিয়া বলেন, তানভীর শিকদার ছাত্রলীগ পরিচয়ে আমার সাথে এ আচরণ করেছে। সে আমার কাছে আসে এবং একটা জিনিসের প্রিন্ট আউট চায়। আমি তাকে বলি এখানে প্রিন্ট দেওয়া হয় না। পরবর্তীতে তিনি আমার কলার ধরেন এবং বাজেভাবে কথাবার্তা বলেন। তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, “আমি এসএম হল ছাত্রলীগের সভাপতি। আমাকে চিনিস?” তিনি স্যারের সাথেও অসদাচরণ করেছেন। এজন্য আমি উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। এখনো বিষয়টি সুরাহা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুল হামিদ জানান, আমি সেখানে যখন আমার কাজে যাই তখন দেখলাম ঐ ছাত্র কর্মচারী তুই বলে সম্বোধন করে বলছে, “তুই এদিকে আয়”। পরে সে মোস্তাফিজ স্যারের সাথেও তর্ক করেছে। পরবর্তীতে আমি চলে আসি।
ঢাবির ভর্তি অফিসের প্রধান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সে আমার কর্মচারীর গায়ে হাত তুলেছে একথা সত্য। সে আমার সাথেও বাজে আচরণ করেছে। এধরণের আচরণ শিক্ষার্থীদের সাথে কাম্য নয়।