শুধু পতাকা অর্ধনমিত রেখেই জেল হত্যা দিবস পালন ঢাবির

জাতীয় চার নেতা
জাতীয় চার নেতা  © সম্পাদিত

আজ ৩ নভেম্বর। জাতীয় জেল হত্যা দিবস। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যার মাধমে রচিত হয় দেশের ইতিহাসের আরেকটি কলঙ্কময় অধ্যায়।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে কারাগারে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। রাষ্ট্রের হেফাজতে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

কিন্তু আজকের এই দিনটিকে স্মরণ করে শুধু মাত্র পতাকা অর্ধনমিত রেখেই জেল হত্যা দিবস পালন করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। অথচ শিক্ষার্থীরা বলছে আজকের এই দিনে জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করে একটি আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যেত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ঢাবি ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে হল শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে নানা ধরণের প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। অথচ আজকের এই দিনে এতো বড় একটি ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে কোনো আলোচনা সভা বা প্রোগ্রাম নেই দেখে অবাক হলাম। তারা নিজেরা চার নেতার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেছে কিন্তু ক্যাম্পাসে কোনো ধরণের কর্মসূচি নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

আরও পড়ুন: আখতারুজ্জামানের আমল শেষ, শুরু হচ্ছে মাকসুদ কামালের যুগ

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, যে জাতীয় চার নেতা মারা গেছেন তারা তো আমদের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং এদের মধ্যে একজন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন। অবশ্যই সবসময় আমাদের তাদের সততা দেখা উচিত।  বঙ্গবন্ধুর পরে তাদের মতো নেতা আর আসে নাই। তাই কোনো নির্দিষ্ট পলিটিক্যাল গোষ্ঠী না জাতীয় নেতা হিসেবে সবারই উচিৎ তাদেরকে স্মরণ করা।

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আজকের দিনটি আমাদের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর সহচর্যে যে বিশ্বস্ত চার নেতা তার পাশে ছিলেন তাদের নিয়ে আসলে আলোচনা হওয়া উচিৎ ছিলো। তবে আমরা সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছি। এখন নির্বাচনকালীন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসহ সার্বিক বিবেচনায় আসলে কোনো ধরণের আলোচনাসভা করা হয়নি তবে আমার মনে হয় এটা নিয়ে আমাদের আলাদা করে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 

সৈকত আরও জানান, এই ইতিহাসটা জানানো দরকার সবাইকে। যারা বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন তাদের আত্মত্যাগের কথা সবাইকে জানানোর জন্য আমরা সামনের দিন গুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি রাখবো।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence