কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা ঢাবি, বুয়েট-নর্থ সাউথ দ্বিতীয় ও তৃতীয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৩, ১১:৩৯ AM , আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩, ১১:৫৫ AM
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাঙ্কিংয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার তাদের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। র্যাংকিংয়ে এবার বাংলাদেশের হয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর দেশের হয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরা ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান করে চমক দেখিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের টানা ৬ষ্ঠ বার এই র্যাঙ্কিংয়ে ৮০১ এর পরে অবস্থানে রয়েছে। যদিও র্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির। ২০২৩ সালে এই র্যাঙ্কিংয়ে ৮০১ থেকে ১০০০তম অবস্থান ছিল বুয়েটের। এবার ২০২৪ সালের র্যাঙ্কিংয়ে ৮০১-৮৫০ এর অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়টির।
এর আগে কিউএসের ২০১৯, ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের অবস্থান ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে ছিল। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৭০১-৭৫০তম। এবার র্যাঙ্কিংয়ে ৬৯১-৭০০তম অবস্থান করে চমক দেখালো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
তাছাড়া এবার ১০০০-এর মধ্যে বেসরকারি নর্থ সাউথ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গতবার এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ১০০০-এর বাইরে ছিল।
এদিকে, এই র্যাঙ্কিংয়ে গতবার ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান হলে এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান হয়েছে।
‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ২০২৪: টপ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিস’ শীর্ষক এই র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৫০০-এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয় না। এ কারণে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে কত নম্বরে, তা উল্লেখ করেনি কিউএস।
এবার র্যাঙ্কিংয়ে ৬৯১-৭০০তম অবস্থান দখল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশসেরা হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় ৮০১-৮৫০ এর অবস্থান বুয়েটের, তৃতীয় হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮৫১-৯০০ এর মধ্যে, চতুর্থ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০০১-১২০০ এর মধ্যে।
এরপরে রয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করলেও ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যায় কিউএস। এরপর থেকে এককভাবেই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে তারা। কিউএসের প্রকাশিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য র্যাঙ্কিংগুলোর একটি মনে করা হয়। এই র্যাঙ্কিংয়ে এখন আটটি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়। প্রতিটি সূচকে ১০০ করে স্কোর থাকে। সব সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্কোর নির্ধারিত হয়।
কিউএস র্যাঙ্কিংয়ের সূচকগুলো হলো একাডেমিক খ্যাতি (একাডেমিক রেপুটেশন), চাকরির বাজারে সুনাম (অ্যামপ্লয়ার রেপুটেশন), শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত (ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট রেশিও), শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশনস পার ফ্যাকাল্টি), আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত (ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি রেশিও), আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত (ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রেশিও), আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক (ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক) ও কর্মসংস্থান (অ্যাম্প্লয়মেন্ট আউটকামস)।
কিউএসের এবারের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ১ হাজার ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ ১০০-তে ১০০ স্কোর নিয়ে এবারও প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।