শিক্ষকতা খুবই পছন্দ করি: অপি করিম
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৩, ১১:৫৪ PM , আপডেট: ১৭ মে ২০২৩, ১১:৫৪ PM
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল অপি করিম বলেছেন, পেশাগত জায়গা থেকে আমি নিজেকে স্থপতির পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এটা আমার কাজ করার জায়গা। সেই সঙ্গে শিক্ষকতা খুবই পছন্দ করি। এরপর যদি বলি তাহলে নাচ পছন্দ করি, তারপর অভিনয়।
বুধবার (১৭ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এক আর্টিস্ট টকে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিনেত্রী বলেন, আমি যখন অভিনয় শুরু করি, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র আড়াই বছর। আমি কঞ্জারভেটিভ পরিবার থেকে উঠে এসেছি। সব পোশাক পরার অনুমতি পেতাম না। ছোটবেলায় একজন মাত্র ফ্রেন্ডের বার্থ-ডে পার্টিতে যেতে পেরেছি।
‘‘যেহেতু আমি পেশায় একজন শিক্ষক, তাই চাইলেও সব কিছু করতে পারতাম না। পরিবারের সব সদস্য মিলে যাতে আমাদের কাজ উপভোগ করতে পারি, এদিকেই বেশি মনোযোগী ছিলাম।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান ফিল্ম সোসাইটি তিন দিনব্যাপী সিনেমা উৎসব ‘একান্নবর্তী’র আয়োজন করে। যার দ্বিতীয় দিন বুধবারে (১৬ মে) অতিথি হিসেবে আর্টিস্ট টকে উপস্থিত ছিলেন অপি করিম।
অপি করিম আরও বলেন, মা হওয়ার আগে আমার কোনো কিছু বন্ধ হয়নি। মা হওয়ার পরে আমার সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ মারা গেছেন, এমন খবর শুনে শুটিং সেট থেকে উঠে গেছি। তবে কাজ চালিয়ে গেছি। কিন্তু মাতৃত্ব খুবই জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আমার কাজের মধ্যে মাতৃত্বের সময়কালীন যে লম্বা গ্যাপ, এটা আমার জীবনের একটা সুখকর বিরতি।
আরও পড়ুন: খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় পিছিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, এই সময়ে আমার কথাবার্তা হয়েছে আমার মেয়ের ও আমার মধ্যে। কখনো আমার মেয়ে আমার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলছে, কখনো আমাকে বকা দিয়ে কথা বলছে। এই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি আনন্দের।
পছন্দের চরিত্র সম্পর্কে অপি করিম বলেন, রক্তকরবীর নন্দিনী আমার খুবই পছন্দের একটা চরিত্র। আমার যতগুলো কাজের কথা বলি না কেন, তার মধ্যে নন্দিনী আমার সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র। আমার মনে হয়, একটা বয়স পরে সব মেয়েরাই নিজের মধ্যে নন্দিনীকে ধারণ করে।
সফলতা প্রসঙ্গে এই তারকা বলেন, আমার কাছে সফলতার সংজ্ঞা খুবই আপেক্ষিক মনে হয়। সফলতা বলে আসলে কিছুই নেই। আমি যে কাজটা করতে চাই, সেটা আনন্দের সাথে করতে পারছি কিনা? আমার ভালো লাগছে কিনা? আমার পরিবার, বন্ধুদের ভালো লাগছে কিনা? এগুলোই আসলে বেশি জরুরি।