ভূতুড়ে ঢাবিতে আলোক স্বল্পতায় অপরাধ বাড়ে রাতে
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৩ PM , আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৩ PM
সন্ধ্যা নামলেই যেনো আঁধার ঘনিয়ে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে। সারাদিন যেখানে হাজারো শিক্ষার্থীর পদভারে মুখরিত থাকে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ, সেখানে সন্ধ্যা নামলেই যেনো সব নিস্তব্ধ নীরব। মনে হয় যেনো ভূতুড়ে ক্যাম্পাস।
ক্যাম্পাসের টিএসসি, মল চত্বর বা কার্জনের সামনের দিকটা সর্বদা মুখরিত থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর তা কমে যায় অনেকখানি। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে লোকারণ্য কিছু স্থান ব্যতীত প্রায় সব এলাকাই ছেয়ে যায় অন্ধকারে।
ক্যাম্পাসের বটতলা, আমতলা, মুহসীন হল থেকে সূর্যসেন হল, মুহসীন হল মাঠ, মল চত্বর ও স্যাডোর মাঝের স্থান, কার্জনের পিছনের এলাকা, বিভিন্ন গলি, সয়েল সাইন্সের পাশের গলি সহ অসংখ্য জায়গায় কোনো লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় অন্ধকারেই থেকে গেছে।
ফলে এসব জায়গায় নিয়মিতই অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটতে দেখা যায়। ছেলে-মেয়ের ঘনিষ্ঠতা যেন বেড়ে যায় অন্ধকারের এই সুযোগে। আর শঙ্কা রয়েছে বড় রকমের অপরাধমূলক কাজেরও। কয়েকদিন আগে এরকমই একটি ঘটনা ঘটে ক্যাম্পাসে। পুলিশ পরিচয়ে এক ঢাবি নারী শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টা করে এক বাইক চালক। তিনি মুক্তি পেলেও তার মূল্যবান সামগ্রী খোয়া যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ক্যাম্পাস হবে সর্বদা আলোকিত। কিন্তু ক্যাম্পাসের রাস্তা ও কয়েকটি জায়গা ব্যতীত প্রায় সব স্থানই অন্ধকারাচ্ছন্ন। কিছু জায়গায় একা যাওয়াটাও অনেক ভয়ের।
ইসলামিক স্টাডিজ এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, বাইরে থেকে যখন হঠাৎ ক্যাম্পাসে আসি, মনে হয় যেনো ক্যাম্পাসে নয়, ভূতুড়ে কোথাও চলে এসেছি। মাঝে মাঝে রাতে একা হাঁটতে গিয়েও মনে ভয়ের সৃষ্টি হয়। এই অন্ধকারের সুযোগে অনেক অসামাজিক কার্যকলাপও অহরহ চোখে পড়ে যা দেখে নিজেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়।
এ বিষয় ঢাবি প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মঙ্গল হয় এরকম যেকোনো পরামর্শ প্রশাসন সবসময়ই গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে আমরা সরেজমিনে জায়গাগুলো খুঁজে দেখে খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।