যেকোনো ক্যারিয়ারে দরকারি ৫টি সাধারণ দক্ষতা

  © সংগৃহীত

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে শুধু বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা থাকলেই আপনি কাঙ্ক্ষিত চাকরি না-ও পেতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক দক্ষতার সঙ্গে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা কর্মকর্তারা বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের ব্যক্তিগত দক্ষতার ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ কর্মীদের ব্যক্তিগত দক্ষতাও প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক, বর্তমানে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরিপ্রার্থীদের কোন দক্ষতাগুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সেসব দক্ষতা আপনি কীভাবে অর্জন করবেন।

১. কার্যকর যোগাযোগের দক্ষতা

যে কোনো পেশাদার কাজে স্পষ্ট এবং সংক্ষেপে যোগাযোগের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেসব চাকরিপ্রার্থী তাদের ধারণাগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন, অন্যের কথা সক্রিয়ভাবে শুনতে পারেন এবং কার্যকরভাবে তথ্য জানাতে পারেন - নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান তাদের বেশি গুরুত্ব দেয়।

কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতা তৈরি করতে মনোযোগী শ্রোতা হওয়ার অনুশীলন করতে হবে। কোথায় কি প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে, তা চর্চা করতে হবে এবং মৌখিক-লিখিত যোগাযোগ বাড়ানোর অভ্যাস করতে হবে। এক্ষেত্রে পাবলিক স্পিকিং ক্লাবে যোগদান করা বা লেখার কোর্স করা যেতে পারে।

২. দলবদ্ধভাবে কাজ করা

নিয়োগকর্তারা সেসব প্রার্থীদের বেশি মূল্য দেন, যারা দলবদ্ধভাবে কাজের ক্ষেত্রে উপযুক্ত সহযোগিতা করতে পারে। এ জন্য দলের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করা, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি খোঁজা এবং অন্যদের অবদানের মূল্যায়ন করে দলবদ্ধভাবে কাজের দক্ষতা বাড়াতে যায়। দলভিত্তিক উদ্যোগের জন্য স্বেচ্ছাসেবক ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

আরো পড়ুন : যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ, আবেদন অনলাইনে

৩. সহজে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা

বর্তমানের কর্মক্ষেত্র খুবই গতিশীল। কর্মক্ষেত্রে সহজে যে কোনো পরিবেশে বা যে কোনো প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগকর্তারা এমন ব্যক্তিদের সন্ধান করেন, যারা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকেন, নতুন প্রযুক্তিতে কাজ করতে পারেন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে পারেন। এ জন্য চ্যালেঞ্জিং কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শেখার মানসিকতা রাখতে হবে। কাজে ঝামেলা হতেই পারে। তাই ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রেখে বিপত্তির সময় নিজেকে স্থির রাখতে হবে।

৪. সমস্যার সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা

চাকরিপ্রার্থীদের জটিল পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করা এবং কার্যকর সমাধান খোঁজার অভ্যাস গড়তে হবে। নিয়োগকর্তারা এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেন। বিভিন্ন সমস্যা-সমাধানের উপায় খোঁজার মাধ্যমে এবং যুক্তির অনুশীলন করে যে কেউ সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে পারেন। যে কোনো বিষয় সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। আর এর বাইরে থাকতে হবে নতুন কিছু শেখার আগ্রহ।

৫. নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা

যেসব প্রার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী রয়েছে নিয়োগকর্তারা তাদের বেশি প্রাধান্য দেন। কারণ নেতৃত্বগুণ থাকা ব্যক্তি দলের সাফল্যে অবদান রাখে এবং সাংগঠনিক অর্জন বয়ে আনে। এক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনেই বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্বের চর্চা করে কিছুটা এগিয়ে থাকা যায়। এভাবে সক্রিয়ভাবে অন্যদের পরামর্শ ও অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে নিজের নেতৃত্বগুণের বিকাশ ঘটানো যায়।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence