সামনে পরীক্ষা, জোর করে হলে উঠলেন ঢাকা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:৩০ PM , আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৭:৩৯ PM
রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। ছাত্রদের জন্য ৩টি এবং ছাত্রীদের জন্য ২টি আবাসিক হল রয়েছে।
করোনা সংক্রমনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন পর্বে ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় পর্বের প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া আগামী ২২ তারিখে দ্বিতীয় ও ৬ষ্ঠ পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়াও বাকি পর্বের লিখিত পরীক্ষাও এ মাসে শুরু হবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবাসিক হল বন্ধ রেখে এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। সোমবার এক প্রকার জোর করেই তিনটি হলে বেশকিছু ছাত্র উঠেছেন। পরে হল প্রশাসন তাদের চলে যেতে চাপ সৃষ্টি করলে দুটি হলের ছাত্ররা বের হয়ে যান। যদিও জহির রায়হান হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা এখনও অবস্থান করছেন।
সোমবার রাতে অবস্থানকারী এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছি। আমরা সবাই ঢাকার বাইরে থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছি কিন্তু থাকবো কোথায়? এখন আমাদের হল প্রশসানের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য পলিটেকনিকে হল খুলে পরীক্ষা নিতে পারলে আমাদের সমস্যা কোথায়? এ বিষয়ে আগামীকাল আন্দোলনে যাবেন বলেও তিনি জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। বাধ্য হয়েই কাল মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে সকাল ১০টায় এই কর্মসূচি পালিত হবে।
জানতে চাইলে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ ইঞ্জি. কাজী জাকির হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তের বাইর গিয়ে কোন কিছু করা যাবে না। তাই হলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে না। তবে শিক্ষার্থীদের হল খুলে দেওয়ার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
হলে থেকে বের না হলে শিক্ষার্থীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার হুমকির ব্যাপার তিনি বলেন, এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।