৫ দাবিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ PM , আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫১ PM
পাঁচ দফা দাবিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষকরা। সম্প্রতি ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতির পক্ষে দীপক মন্ডল, মো. রুহুল আমিন, মো. তানভীর হাসান, সামসুল আমিন মেরাজ এবং মো. আলমগীর হোসেনের পক্ষে এ স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষকরা একই প্যানেল থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও বাস্তবে বেতন, এমপিও নিষ্পত্তি ও প্রশাসনিক সুবিধায় আকাশসম বৈষম্য বিদ্যমান। সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হওয়ায় আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছি। অনেক শিক্ষক ঋণগ্রস্ত হয়ে কর্মজীবন শুরু করেছেন এবং সামাজিকভাবে চরম দুরবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে আপনার সদয় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মাউশি ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন হবে এবং আমাদের ন্যায্য দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। অন্যথায় আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হব-যার দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।’
শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবি হলো- যোগদানের তারিখ থেকে বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে, যেমনটি মাউশি অধিভুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; প্রতিষ্ঠানের সামান্য কাগজপত্রগত ত্রুটি বা মামুলি কারণে কোনো প্রার্থীর এমপিও আবেদন বাতিল করা যাবে; অধিদপ্তর বা আঞ্চলিক অফিসের অবহেলায় কোনো প্রয়োজনীয় কাগজ হারিয়ে গেলে সেই কাগজের অজুহাতে পরবর্তীতে এসপিও আবেদন বাতিল করা যাবে না; কাম্য শিক্ষার্থী, কাম্য পরীক্ষার্থী বা কাম্য ফলাফলের অজুহাতে এমপিও বাতিল করা যাবে না। করোনা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় কাম্য শিক্ষার্থীর শর্ত শিথিল করে এমপিও প্রদান এবং মাউশি অধিভুক্ত শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন পেলেও গত চার মাস ধরে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে কোনো এমপিও নিষ্পত্তি হয়নি। এমনকি পঞ্চম বিজ্ঞপ্তির বহু আবেদন এখনো অনিষ্পন্ন। অবিলম্বে সব এমপিও কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।