স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ মে ২০১৯, ০৫:৩৮ PM , আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ০৫:৫৬ PM
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করাসহ ৮ দফা দাবিতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোর্চা ‘স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন’ সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি কনফারেন্স হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান আলম সাজু।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ শিক্ষায় মূল দায়ীত্বপালনকারী বেসরকারি শিক্ষকরা আজ বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার গত ১০ বছরে শিক্ষা নীতি প্রণয়ন, জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান, বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য কল্যাণ এবং অবসর বোর্ডে ১ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা প্রদান, বাড়ী ভাড়া ও মেডিকেল ভাতা বৃদ্ধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তারপরও এখনো অনেক সমস্যা বিরাজমান। এসব সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ। লিখিত বক্তব্যে তিনি সরকারের বর্তমান মেয়াদে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা ও কার্যক্রম গ্রহণের দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর সাজিদুল ইসলাম, সাইদুর রহমান পান্না, অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, অধ্যক্ষ একেএম মোকসেদুর রহমান, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, একেএম ওবায়দুল্লাহ, অধ্যক্ষ মিলন কুমার ঘোষাল, জনাব সামসুল ইসলাম, জনাব এম আরজু, মোঃ শাহজাহান খান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে উথাপিত ৮ দফা দাবিসমূহ হচ্ছে:
১. (ক) শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিশ্বায়ন উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারের বর্তমান মেয়াদে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে এবং অবিলম্বে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে হবে।
(খ) শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুরূপ পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও যৌক্তিক বাড়ি ভাড়া প্রদান করতে হবে।
(গ) স্বল্প আয়ের শিক্ষকদের আর্থিক দিক বিবেচনা করে অতিরিক্ত চাঁদার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে এবং বিকল্প গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা কর্তনের জন্য শিক্ষক কর্মচারীদের চাঁদার হার অনুপাতে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করতে হবে।
২. (ক) নন-এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা) এমপিওভুক্ত করতে হবে।
(খ) স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সকল শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে।
৩. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা বাতিল করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখতে হবে।
৪. মাউশি, কারিগরি ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি সংস্থায় যোগ্যতার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে হবে।
৫. শিক্ষা প্রশাসন থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের উৎখাত করতে হবে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের অপতৎরতা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। আরবী বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে।
৬. এমপিও নীতিমালাসহ শিক্ষা সংক্রান্ত কমিটি সমূহে বেসরকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে।
৭. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারী ও বেসরকারি প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ করতে হবে।
৮. (ক) সহকারী মৌলভীদের সহকারি শিক্ষকদের অনুরূপ ২২,০০০/- টাকা স্কেলে বেতন প্রদান করতে হবে।
(খ) সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রধানদের উচ্চতর বেতন স্কেল ১২,৫০০/- প্রদান করতে হবে।