আগামী নির্বাচনে শিক্ষকদের ভোট নিয়ে গেম চলছে: আজিজী

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি  © ফাইল ছবি

আগামী নির্বাচনে শিক্ষকদের ভোট নিয়ে গেম চলছে অভিযোগ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অতীতে শিক্ষক আন্দোলন জিম্মি ছিল। যারাই আন্দোলন করতেন, বলতেন শিক্ষক আন্দোলন আমার। আওয়ামী লীগকে বলতেন, আমার কথা না শুনলে নমিনেশন না দিলে ছয় লক্ষাধিক পরিবার কেউ আপনাদের ভোট দেবেন না। এটা বুঝিয়ে অনেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন, এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন আরেকটা গ্রুপ চাচ্ছে, বিএনপিকে বুঝিয়ে, এই সব শিক্ষক আমাদের। যদি আপনারা আমাদের ৩০টি আসন না দেন, এমপি-মন্ত্রী না দেন, তাহলে ছয় লাখ শিক্ষক পরিবার এবং তাদের শিক্ষার্থীরা কেউ ভোট দেবে না। নির্বাচনে বিপর্যয় হবে। এই গেমটা তারা খেলতে পারছে না। ৫ আগস্টের পরে বন্দোবস্ত চেঞ্জ হয়ে গেছে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

কোনও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে একটি পয়সাও নেননি দাবি করে দেলাওয়ার হোসেন আজীজি বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে যাচ্ছি আমাদের আন্দোলন সমর্থন আদায়ের জন্য। এনসিপির কাছে গিছি, হাসনাত আব্দুল্লাহ কয়েকবার এসেছেন। জামায়াতের সঙ্গে মিটিং করেছি আমাদের সহযোগিতার জন্য। কারও কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়েছি, কেউ যদি প্রকাশ করতে পারে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাষ্ট্রের কাছে আমরা অনুরোধ করছি।’

আরও পড়ুন: আলোচনার নামে আই-ওয়াশ করেছেন: শিক্ষক নেতা আজীজি

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকরা এখন কোনও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকতে চায় না। তারা চায়, তাদের পেশাগত আন্দোলনে যারা এগিয়ে আসবে, তাদের সঙ্গেই থাকবে। আমাদের বড় কোনও পরিচয় নেই। তারা আমাদের আন্দোলনকে ট্যাগ দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন যারা ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।

এ শিক্ষক নেতা বলেন, ‘আমরা শহীদ মিনারে থাকব শান্তিপূর্ণভাবে। আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এসেছি। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলনের কারণে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যার যে পেশা, সেখানেই থাকতে চান। শিক্ষক হিসেবে আমরা চাই, দ্রুত যাওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, যদি আমাদের আন্দোলন সফল হই, প্রয়োজনে শুক্র-শনিবারও ক্লাস নিয়ে, শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, রাত-দিন পরিশ্রম করে ক্ষতি পুষিয়ে দেব।’


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!