শিক্ষক সমাবেশে বক্তারা
‘হত্যাকাণ্ডের বিচার এ সরকার করবে না’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩১ PM , আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩৭ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও মৌন মিছিল কর্মসূচিতে বক্তারা বলেছেন, সরকার পুলিশের কাঁধে ভর করে আছে। তারা এ পুলিশের বিচার করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হওয়া শিক্ষকদের সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ‘গর্দান হত্যার বিচার তলোয়ারের কাছে চাইতে পারি না। সরকারের যে পুলিশ বাহিনী সাধারণ ছাত্র–জনতাকে হত্যা করেছে, তারা এ পুলিশের বিচার করতে পারবে না। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এসব ঘটনার বিচার করতে হবে। সরকারকে এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে।’
শিক্ষকেরা আরও বলেন, ‘প্রতিবাদ করলেই বিভিন্ন ট্যাগ (তকমা) লাগানো হয়। এটা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্যই খুলে দিতে হবে। হত্যাকাণ্ডের বিচার এ সরকার করবে না। কারণ, তারা নিজেরাই খুনি।’
ছয় সমন্বয়ককে বেআইনিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সমন্বয়কদের ছেড়ে দিতে হবে। আর একটাও গুলি করবেন না। সরকারের উন্নয়নের খোলস, চেতনার খোলস ভেঙে পড়েছে। যে সরকার পুলিশের কাঁধে ভর করে থাকে, তারা এ পুলিশের বিচার করতে পারবে না। চেতনার ব্যবসা, মামলাবাজি বন্ধ করতে হবে।’
সমাবেশে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়াসিমা ও বায়েজিদ ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশরেফা অদিতি হক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) শিক্ষক ইমরুল আজাদ, নর্থ সাউথের শিক্ষক রিয়াসাত খান প্রমুখ।
এসময় শিক্ষকেরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছে বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আটক শিক্ষার্থীসহ অন্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কারফিউ তুলে নিতে হবে। ব্লক রেইডের নামে গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
এছাড়াও আগামীকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ‘দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি’ ঘোষণা করেছেন। তারা দ্রোহযাত্রা নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন। এতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষকে আহ্বান জানান তারা।