‘মাউশির নির্দেশনা শিক্ষকদের আন্দোলন থামাতে পারবে না’

প্রেস ক্লাবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা
প্রেস ক্লাবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা  © আমান উল্যাহ আলভী

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে যে নোটিশ জারি করা হয়েছে তা শিক্ষকদের আন্দোলন থামাতে পারবে না। দাবি আদায় না করে শিক্ষকরা বাড়ি ফিরবেন না।

বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক  অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ।

তিনি বলেন, মাউশি থেকে অহেতুক শিক্ষকদের তালিকা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হবে। ছুটিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কাজেই মাউশির এই নির্দেশনার তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।

বিটিএ সাধারণ সম্পাদক জানান, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দিলে আমরা আমাদের আন্দোলন স্থগিত করে বাড়ি ফিরে যাব। তবে দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে সকল শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসছেন না তাদের তালিকা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে এ দায়িত্ব দেয় মাউশি।

মাউশির ওই নির্দেশনায় বলা হয়, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্য ২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে নতুন টিচিং-লার্নিং অ্যাপ্রোচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন যেমন- প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্নিং বডি, শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সকলের কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্নিং বডি।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে শিক্ষকের এবং তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে- কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কোনো কোনো শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিরও কোনোরূপ নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়া এর আগে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। ফলে এখন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাসসহ গভীর নজর দেওয়া হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রতিপালনে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো-

১. প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি সক্রিয় তদারকি করবে

২. শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন

৩. কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখা

৪. সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা

৫. শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা

এসব নির্দেশনা পালনে কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence