এবার ইনটেলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হলেন খুবি ছাত্র হেলাল

খুবি শিক্ষার্থী হেলাল
খুবি শিক্ষার্থী হেলাল   © টিডিসি ফটো

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনটেলের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক শিক্ষার্থী আল হেলাল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ডিসিপ্লিনের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিজের ফেসবুক একাউন্টে এক পোস্টে ইনটেলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। এর আগে, ১১ এপ্রিল ইনটেলের হিলসবরো, ওরিগন (যুক্তরাষ্ট্র) অফিসে যোগদান করেছেন তিনি।

আল হেলাল জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে সিএসই সম্পর্কে তেমন ভালো ধারনা ছিল না। এক রকম নাম শুনেই ভর্তি হয়ে ছিলাম। ছোটবেলায় কম্পিউটারে গেমস খেলা থেকেই কম্পিউটার কেন্দ্রিক একটা অন্যরকম প্যাশন ছিল। ভর্তি হওয়ার আগে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না। এতটাই কম জ্ঞান ছিল যে একবার একজন ভালো প্রোগ্রামার সিনিয়র ভাইকে জিজ্ঞেস করে ফেলেছিলাম, 'আপনি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন?

তিনি আরও জানান, প্রথমবর্ষে সি++ কোর্সটি পড়ার সময় অনলাইনে ‘প্রোগ্রামিং প্রবলেম সলভ’ করতে গিয়ে বুঝতে পারি প্রোগ্রামিং কোথায় কাজে লাগে। পাশাপাশি ম্যাথের প্রতি প্রচণ্ড প্যাশন থাকায় প্রোগ্রামিং উপভোগও করতে শুরু করি। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠিত কোনো সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি।

আরও পড়ুন : ফেসবুকে চাকরি পেলেন খুবি শিক্ষার্থী সালেহীন

হেলাল জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পরে সোনালী ব্যাংক এবং জনতা ব্যাংকসহ তিনটি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার (আইটি) পদে চাকরি পেলেও যোগদান করা হয়নি। কারণ স্বপ্নের পিছনে বিভোর হয়ে ছুটছিলাম তখন। এর মধ্যেই মাস্টার্সের জন্য স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকায় চলে আসি।

চাকরি পেয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি জানান, সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ সেই আন্ডার-গ্রাজুয়েটের সময় থেকে দেখে আসা স্বপ্নটা সত্যি হয়েছে। নিজের স্বপ্নটাকে ছুঁয়ে দেখতে পেরেছি এইটাই অনেক বড় পাওয়া।

এদিকে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পার্টনার ইঞ্জিনিয়ার (অ্যান্ড্রয়েড-এল৪) হিসেবে ডাক পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক শিক্ষার্থী আশফাক সালেহীন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 


সর্বশেষ সংবাদ