গবেষণায় ভারতের ‘ইতিকথা সাহিত্য সম্মাননা’ পাচ্ছেন শিক্ষক আরমিন হোসেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৭ AM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৭ AM
ভারতের ‘ইতিকথা মৈত্রী সাহিত্য সম্মাননা ২০২৫’-এ মনোনীত হয়েছেন তরুন গবেষক ও শিক্ষক আরমিন হোসেন। প্রকাশিত গবেষণামূলক গ্রন্থগুলোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। ইতিকথা পাবলিকেশনের পক্ষ থেকে আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি কলকাতার নন্দন চত্বরে ‘ইতিকথা মৈত্রী সম্মাননা-২০২৫’ প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আরমিন হোসেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি পাবলিকেশনের পক্ষ থেকে শুদ্রক উপাধ্যায় স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে জানান তিনি।
বার্তায় আরও বলা হয়, ‘ইতিকথা পাবলিকেশন এবং ইতিকথা পত্রিকার পক্ষ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশের একজন মেধাবী কবি, সাহিত্যিক, সম্পাদককে ইতিকথা মৈত্রী সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করে আসছে। কোভিড ও কোভিড পরবর্তী কয়েক বছর মহামারীর কারনে সম্মাননা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ২০২৫ থেকে আবার আমরা সম্মাননা প্রদান করতে চলেছি।
এই সম্মাননা প্রদান করা হয় তার এযাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থ, সম্পাদনা, সাহিত্যকর্ম, গবেষণা, শৈল্পিক দর্শন ইত্যাদির ওপর আলোকপাত করে।’
আরও পড়ুন : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন শেষ রাতে
সম্মাননায় মনোনীত হয়ে উচ্ছ্বসিত আরমিন বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আমার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়—এটি আমার পথচলায় পাশে থাকা সকল শিক্ষক, সহগবেষক, পরামর্শদাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি এক নীরব কৃতজ্ঞতা। গবেষণার প্রতিটি ধাপে তারা আমাকে সাহস দিয়েছেন, প্রশ্ন করতে শিখিয়েছেন, নতুন জানার ক্ষুধা জাগিয়ে রেখেছেন। এই সম্মান আমাকে শুধু আনন্দ দেয়নি, দিয়েছে নতুন প্রতিজ্ঞা—জ্ঞানচর্চার প্রতি আমার দায় আরও গভীর হবে। এই স্বীকৃতি আমার জন্য গৌরবের, কিন্তু একই সঙ্গে এটি নতুন পথচলার প্রেরণা।’
আরমিন হোসেন বর্তমানে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বাংলা একাডেমির রিসার্চ ফেলো হিসেবে গবেষণা করেছেন। তার মৌলিক গবেষণা গ্রন্থসমূহ ইতোমধ্যে বেশ আলোচিত। বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক প্রকাশনী থেকে তার গবেষণামূলক বিভিন্ন মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- ‘উত্তর-আধুনিকতা ও ফোকলোর’, ‘পরিবেশ ফোকলোর’, ‘১৫০ বছরের ঐতিহ্যে গহনাপল্লী’, ‘হিজড়া লোকগোষ্ঠীর পরিবর্তিত সমাজ কাঠামো : বিবাহকেন্দ্রিক কৃত্যানুষ্ঠান’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও আন্তর্জাতিক জার্নালে অন্তত ১০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।