জিয়া হল প্রভোস্টের অপসারণ চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট  © লোগো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল প্রভোস্টের অবিলম্বে আপসারণের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। জিয়া হলের শিক্ষার্থী মেফতাহুল মারুফকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ও ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্ট’ অভিযোগে থানায় সোপর্দের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা এই দাবি জানান। গতকাল শুক্রবার (১৯ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছে দলটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিয়া হলের শিক্ষার্থী মেফতাহুল মারুফকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ও ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্ট’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে হল প্রশাসন ১৮ আগস্ট মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে। মারুফ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার ডিপার্টমেন্টের মেসেঞ্জার গ্রুপে বন্ধুদের মধ্যে আলাপ চলাকালে ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে গত ১৭ আগস্ট ছাত্রলীগের সমাবেশ ও মিছিলের ফলে রাস্তায় সৃষ্ট যানজটে পথচারীদের ভোগান্তি ও গত কয়েকদিনে ছাত্রলীগের ঘন ঘন কর্মসূচিতে হলের শিক্ষার্থীদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করে লেখা একটি মেসেজের ভিত্তিতে তাকে হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এবং হল প্রশাসন ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ও ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্ট’ কাজে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: গুচ্ছের ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা আজ, অংশ নেবেন ৪২ হাজার ভর্তিচ্ছু

এই ঘটনার ভয়াবহতা উল্লেখ করে নেতারা বলেন, “একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের বিরোধীতা যে কোনো নাগরিকই করতে পারে। কিন্তু এই ফ্যসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার পদলেহী হল প্রশাসন সরকারের বিরোধীতাকেই রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে চালিয়ে দেয় এবং জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনে। এই অভিযোগ সত্য নয় বরং বিরুদ্ধ মত দমন করতেই হল প্রশাসন ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ও ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্ট’তার অভিযোগ এনেছে।

এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বলার, মত প্রকাশ করার, সমালোচনা করার পরিবেশ আশঙ্কাজনকভাবে সংকোচিত হওয়ার আরেক উদাহরণ তৈরি করল। এবং রাষ্ট্রীয় ফ্যসিবাদ কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিচ্ছে তার উদাহরণ ছাত্রলীগ, হল প্রভোস্টের ভূমিকা এবং যারা স্ক্রীনসর্ট শেয়ার করেছে তাদের কর্মকাণ্ডে বোঝা যায়। রাষ্ট্রীয় দাসবৃত্তির নিকৃষ্টতম রূপকে প্রকাশিত করেছে এই ঘটনা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং এই কর্মকাণ্ডের পরও প্রভোস্ট এর স্বপদে বহাল থাকা সমীচীন নয়। আমরা অবিলম্বে প্রভোস্ট এর আপসারণ দাবি করছি এবং এই ঘটনার সাখে সংশ্লিষ্ট সকলকে  শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

নেতারা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজকে মারুফের কণ্ঠ চেপে ধরেছে যে ব্যবস্থা, তা যে পরের সপ্তাহে আপনার কণ্ঠ চেপে ধরবে না তার কি গ্যারেন্টি আছে? তাই সময় এসেছে মুখ খোলার। নিপীড়নের বিরুদ্ধে, বিরুদ্ধ মত দমনের প্রতিবাদে সকল শিক্ষার্থীকে তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাই।”


সর্বশেষ সংবাদ