ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ
ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল ছাত্রলীগ। এ কর্মসূচিতে দাঁড়ানো নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ সময় ক্যাম্পাসের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ওই মহড়ার ভিডিও ধারণ করায় এক ব্যক্তির মুঠোফোন কেড়ে নেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বহিরাগত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরাপত্তারক্ষীকেও মারধর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের সমাবেশ, মিছিল শেষে পুকুরে ডুব দিয়েছিলেন পলাশ

এদিন দুপুরে মানববন্ধনে দাঁড়ানো নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগের একাধিক কর্মীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের বিষয়টি মুঠোফোনে বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীদের জানানো হয়। বহিরাগত কর্মীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করেন। পরে তারাও হামলাকারীদের ঠেকাতে সংঘর্ষে জড়ান।

একপর্যায়ে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে দ্বিতীয় বর্ষের শাওন ও ফাহিমসহ কয়েকজন আহত হন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র ছেলেদের মধ্যে সামান্য ঘটনা ঘটেছিল। তখন আমরা একটু দূরে ছিলাম। ছাত্রদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জুনিয়র ছেলেরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জল কুমার প্রধান বলেন, ঘটনার পর থেকে তাঁরা ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে আছে। পাশাপাশি বহিরাগত কেউ যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না পারে, সে জন্যও সতর্ক আছেন।


সর্বশেষ সংবাদ