এককালীন ১০ লাখ, প্রতি মাসে ১ লাখ

চাঁদা না দেওয়ায় ৭টি দোকান বন্ধ করে দিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা

সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ
সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর আনন্দ বাজারের দোকান মালিকদের কাছ থেকে এককালীন ১০ লাখ ও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি চাঁদা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান অভিযোগকারী দোকানদাররা।

একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন এনায়েত এইচ. মনন এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ। তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ওই ব্যবসায়ীরা।

আজ রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, যেসব দোকান দিন-রাত কেনা-বেচায় ব্যস্ত ছিল তা মালিকরা বাধ্য হয়ে বন্ধ রেখে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করছেন। তাদের দোকানের কর্মচারীরাও এখন বেকার সময় কাটাচ্ছেন। প্রাণ ভয়ে কেউ দোকান খুলছেন না বলে তারা জানিয়েছেন।

দোকান মালিকরা জানান, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে দোকান খোলা অবস্থায় অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ একদল নেতাকর্মী নিয়ে আনন্দ বাজারের ওই দোকানগুলোতে গিয়ে দোকান মালিকদের চাঁদার জন্য হুমকি-ধমকি দেন। পরে দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের ১৮টি হলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হলেন যারা

এরপর শবে বরাতের রাতে ওই ব্যবসায়ীদের ওয়ান স্টার হোটেলে ডেকে নিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা। সেই টাকা না পেয়ে গত ১২ মার্চ থেকে ৭টি দোকান বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এমনকি টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অমর একুশে হল‌ ছাত্রলীগ সভাপতি এনায়েত এইচ মনন তা অস্বীকার করেন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি কোনো ধরনের অনৈতিক এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কোনো কাজ করে, তাহলে আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। আমাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাদের (অভিযোগকারী) প্রতি আমার পরামর্শ হলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা নেয়ার।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence