শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে: নুর

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন দেশে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে, আবার কখনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষা কার্যক্রমের মেয়াদ কমিয়ে আনতে হবে।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক ছাত্রসমাবেশে তিনি এই আহবান জানান। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কয়েকজন নেতা।

নুর বলেন, পাঁচ দিনের পরিবর্তে সেটা তিন দিন করে দেওয়া যেতে পারে। একই বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিফটে ভাগ করে ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা কার্যক্রম আর একটা দিনের জন্য বন্ধ রাখা যাবে না।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি প্রশ্ন করেছেন, হাট-বাজার, লঞ্চঘাট, অফিস-আদালত সবকিছুই পূর্ণোদ্যমে চলছে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সমস্যা কোথায়?

তিনি আরও বলেন, করোনার শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিয়ে কাজ করা হয়েছিল। তখন একটা যুক্তি ছিল। এখন কিন্তু সব পুরোদমে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ দিলেও স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়ার বাইরে। তারা মানসিকভাবে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ থাকে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে।

“বিদেশি একটি পত্রিকা নিউজ করেছে শিক্ষার্থীরা নেটওয়ার্কের জন্য গাছে উঠেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা এখন পর্যন্ত আমরা সারাদেশে নিশ্চিত করতে পারি নাই। এখন পর্যন্ত সেই অবকাঠামোই আমরা শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে পারি নাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, শিক্ষার্থীদের ডিভাইস দেওয়া হবে, ইউজিসি বলেছে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থীকেও বলতে শুনলাম না একটি ডিভাইস পেয়েছে। বরং প্রত্যন্ত অঞ্চল বা পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের আক্ষেপ করতে শুনেছি, ক্লাস করতে পারছি না, আমরা কী করতে পারি।”

নুর আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবির সঙ্গে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট সবাই একমত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এ দাবি উপেক্ষা করতে পারে না। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে না। নিশ্চয়ই এর পেছনে কিন্তু রয়েছে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হোসেন, ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ