ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি নির্বাচন হয় যেভাবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৫ PM
২০২৬ সেশনের জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সদস্য ছাত্রশিবিরের সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতে তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। শিবিরের সংবিধানের ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, তিনি আগামী এক বছর এ দায়িত্ব পালন করবেন।
শিবিরের সংবিধান অনুযায়ী নবনির্বাচিত সভাপতি পরবর্তী সময়ে সেক্রেটারি জেনারেল মনোনয়ন দেন। যার কার্যক্রম এখন চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
শিবিরের সংবিধানের ১৩ ও ১৪ নম্বর ধারায় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বর্ণিত রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এক বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
যদি কোনো কারণে সভাপতির পদ স্থায়ীভাবে শূন্য হয়, কার্যকরী পরিষদ থেকে একজনকে সাময়িক সভাপতি নিযুক্ত করা হয় এবং যত দ্রুত সম্ভব সদস্যদের ভোটে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। সাময়িক ছুটির ক্ষেত্রে সভাপতি কার্যকরী পরিষদের পরামর্শে তিন মাসের জন্য একজন অস্থায়ী সভাপতি নিয়োগ করতে পারেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কার্যক্রম হিসেবে সেক্রেটারি জেনারেলের নাম ঘোষণা করেন। শিবিরের সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী, তিনি কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত করে থাকেন।
উল্লেখ্য, কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনেরও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। শিবিরের সংবিধানের ১৯ নং ধারায় বলা হয়েছে, সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে কার্যকরী পরিষদ এক বছরের জন্য গঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি থাকবেন এবং সেক্রেটারি জেনারেল পদাধিকার বলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হবেন।
শিবির সভাপতি কার্যকরী পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ। সংবিধানের ১৭ নং ধারায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সভাপতি সবসময় কার্যকরী পরিষদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করবেন।