ডাকসু নির্বাচন
ভিপি-জিএসের লড়াইয়ে আলোচনায় ডজনখানেক ছাত্রনেতা
- মো. জাফর আলী ও ফাইয়াজ উদ্দিন স্মরণ
- প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪২ PM , আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭ PM
১০৪ বছর বয়সী দেশের সবচেয়ে পুরানো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ তথা ডাকসু নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে। আবার স্বাধীনতার ৫৩ বছরে হয়েছে ৮ বার। অথচ ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসুর মনোনীত পাঁচজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘সিনেট’-এর সদস্য হয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও সমস্যা তুলে ধরার কথা। তবে নিয়মিত এই নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে থাকছে না শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।
ডাকসুর সর্বশেষ কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। এরপর তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসেই ৫ বছর পার হয় ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের। কিন্তু বর্তমানে সে পরিস্থিতি একেবারেই বদলে গেছে। গত ৫ আগস্টের পর এই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে।
ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনও এই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ইতিবাচক। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের কাজ শুরু করেছে। সর্বশেষ গত ১৬ জুন ডাকসু নির্বাচনের ১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিশন গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দুয়েকদিনের মধ্যে হল সংসদ নির্বাচনের জন্য দুজন করে কর্মকর্তা (শিক্ষক) নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, আগামী আগস্ট মাসের শেষের দিকে কিংবা পরের মাস সেপ্টেম্বরের শুরুতে যেকোনো দিন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর আগে চলতি জুলাইয়ের যেকোনো সময়ে তফশিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
“অনেক বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। এর আগে যে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেখানে ছাত্রদের অনেক অভিযোগ ছিল—বিশেষ করে নিরপেক্ষতার ঘাটতি নিয়ে। আমরা চাই সবাইকে সাথে নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে এ নির্বাচন আয়োজন করতে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—এই প্রশাসনের কোনো আলাদা এজেন্ডা নেই। আমরা কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতে চাই না-অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, ঢাবি ভিসি
জানা গেছে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে ২০টিরও অধিক ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের সক্রিয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব সংগঠনের নেতারা সরব হয়েছেন। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করছেন নানাভাবে। পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী অনেকেই এককভাবে নির্বাচন করার কথা ভাবছেন।
তবে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করার কথা বার্তা চলছে তাদের নিজেদের ভেতরে, এখনও অভ্যান্তরীণ আলাপ-আলোচনা করছেন। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আলাদা আলাদা প্যানেল ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। এ সংগঠনগুলো ছাড়াও বামপন্থী সংগঠনকে এক প্যানেলের আওতায় আসতে পারে। অর্থাৎ সকল বামপন্থী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আলাদাভাবে একক নির্বাচনও করতে পারে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের বিপরীতে ভোট দিয়েছিলেন ভোটাররা। তবে এবার পদসংখ্যা বেড়েছে। এ বছর মোট ২৮টি পদের বিপরীতে লড়বেন প্রার্থীরা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্য একজন শিক্ষক ডাকসুর সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদটি সবচেয়ে আলোচিত। বলা হয়ে থাকে, ডাকসুর ভিপি-জিএসরা আগামীতে দেশের জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্বে দিয়ে থাকেন। সর্বশেষ ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি তিনি।
ভিপি-জিএস পদে লড়াইয়ে আলোচনায় রয়েছেন যারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ডাকসু নির্বাচনে ঢাবি শাখা সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান এবং কবি জসীমউদদীন হলের প্রচার সম্পাদক শেখ তানভীর বারী হামিম ভিপি-জিএস পদে লড়াইয়ে আলোচনায় রয়েছেন।
জানা গেছে, শিপন ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। গত বছরের ১ মার্চ তিনি ঢাবি ছাত্রদলে এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। অন্যদিকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলামও শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ পরিচিত। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ‘প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ বলে আলোচনায় আসেন তিনি। এছাড়া ২০১৮-১৯ সেশনের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমের উদ্যোগে কমল মেডিএইড নামে একটি সংগঠনটি সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা, আন্তঃহল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প, গার্লস কমনরুমে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন প্রতিস্থাপন, গরমে বিনামূল্যে লেবু পানি বিতরণসহ শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ডাকসু নির্বাচনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক ঢাবি শাখার সভাপতি আবু সাদিক কায়েম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দিতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ঢাবি শাখার সভাপতি রয়েছেন এসএম ফরহাদ, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। জনপ্রিয় ছিলেন বিতার্কিক হিসেবেও। শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় সাড়া দিয়ে তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।
গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদেরও আলোচনায় রয়েছেন। আব্দুল কাদের ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নয় দফা প্রণয়ন করে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আর আবু বাকের মজুমদার ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাকে আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামসহ অন্যদের সঙ্গে আটক করে ডিবি পুলিশ। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
আলোচনায় রয়েছেন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য সাবেক মুখপাত্র তিনি। ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অন্যতম নারী আন্দোলনকারী হিসেবেও তার খ্যাতি-পরিচিতি যে কারো থেকে আলাদা।
ভিপি-জিএস পদে লড়াইয়ে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্র তিনি। ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম। ১২ মামলায় অভিযুক্ত ও চারবার কারাবরণকারী এই ছাত্র বর্তমানে পিএসসি সংস্কারের আন্দোলনের সক্রিয় নেতা। তার উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের নারীদের প্রতিটি হলে স্বাস্থ্য উপকরণ হিসেবে ডিজিটাল স্যানিটারী ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে। আগে থেকে স্থাপন করা অ্যানালগ মেশিনগুলোও সংস্কার করা হচ্ছে।
আলোচনায় রয়েছেন জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ। যিনি আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। ‘শিক্ষণ’ ও ‘আস্ সুফফাহ ইসলামিক ইনস্টিটিউট’-এর প্রতিষ্ঠাতা। স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদ গঠনসহ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন সম্মিলিত ডাকসু আন্দোলনের ব্যানারে সোচ্চার। এছাড়া রয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি সংসদের (একাংশের) সভাপতি মেঘমল্লার বসু। যিনি শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এছাড়াও একক প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী তিনি। ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকা প্রার্থীদেরকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ মাহতাপ ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিগত বছরগুলোতেও যারা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও বহিরাগতমুক্ত, পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ও মানোন্নয়ন, খাবার ও আবাসন সংকট দূরীকরণে কাজ করবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বোপরি 'আইডিয়াল ক্যাম্পাস ফর মডার্ন লার্নিং' হিসেবে গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট থাকবে— এমন নেতৃত্ব আশা করছি।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি যুবাইর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ডাকসুতে এমন নেতৃত্ব আসুক যারা শিক্ষা, গবেষণা এবং শিক্ষার্থীদের জীবনের মানোন্নয়ন অর্থাৎ শিক্ষার্থীবান্ধব একটি ক্যাম্পাস উপহার দেওয়ার জন্য কাজ করবে। এছাড়া, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করবে।
ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ডাকসু তফসিল ঘোষণার আগে বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে বসছি আমরা। এখনও কিছু অংশীজনের সাথে আলোচনায় বসার বাকি রয়েছে। এসব অংশীজনের বিভিন্ন দাবিগুলো যদি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পূরণ করা সম্ভব হয় সেটি করা হয় আর প্রশাসনের সাথে জড়িত বিষয়গুলো প্রশাসন দেখবে। তারপর একটা সমাধানে এসে আমরা ডাকসু সম্পর্কে চূড়ান্ত তফসিল ঘোষণা করতে পারবো।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—ছাত্রদের অধিকার রক্ষার জন্য ডাকসু নির্বাচন। আমরা গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে ডাকসু নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে রিটার্নিং অফিসার ও চিফ রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তারা শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করবেন। আমরা চাই নেতৃত্বের বিকাশ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য ডাকসু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্রিয় হোক। তিনি আরও বলেন, অনেক বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। এর আগে যে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেখানে ছাত্রদের অনেক অভিযোগ ছিল—বিশেষ করে নিরপেক্ষতার ঘাটতি নিয়ে। আমরা চাই সবাইকে সাথে নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে এ নির্বাচন আয়োজন করতে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—এই প্রশাসনের কোনো আলাদা এজেন্ডা নেই। আমরা কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতে চাই না। আমাদের কোনো গোপন চিন্তাও নেই।