রাবিতে বামপন্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে মশাল মিছিল
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৮:৩৮ PM , আপডেট: ২৯ মে ২০২৫, ০১:৩৪ AM
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেওয়া এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে একত্রিত হয়ে মশাল মিছিল বের করে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে যেয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় নেতারা ‘আমার সোনার বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’; ‘চব্বিশের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’; ‘একাত্তরের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’; ‘একাত্তরের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’; ‘চব্বিশের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’; ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘রাজাকারের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’; ‘আল বদরের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’; ‘রাবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’; ‘রাজাকারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের আপিল বিভাগ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত রাজাকার এটিএম আজহারকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। আমরা এই রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তাদের ই বেকসুর খালাস দেওয়া হয় যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আলবদরের ভুমিকায় তৎকালীন ছাত্র সংঘের রংপুর বিভাগের সভাপতি এটিএম আজহার সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। সে কোনভাবেই নিরপরাধ একজন ব্যক্তি নয়, সে একজন চিহ্নিত আল বদর।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘চব্বিশের পতিত স্বৈরাচারী সরকার যেভাবে জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে দেশ পরিচালনা করেছিল এবং বিচারব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে চব্বিশের পরেও এখনো দেখা যাচ্ছে একটি মহল একই নীতিতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নির্লজ্জ রায় গুলো দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে আমরা এই দেশ দেখতে চাই না। গতকাল যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করে যারা একই নীতিতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে তাদের হুশিয়ার করে দিতে চাই, আরেকটি মানুষের উপরে যদি তারা এ জোর যার মুল্লুক তার নীতি প্রয়োগ করে তাহলে ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ থেকে এর প্রতিবাদ শুরু হবে।’
হাম্মাম তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে একাত্তরের নামে। যারা একাত্তরে বাংলাদেশের বিরোধীতা করেছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিত হতেই হবে। কোন রাজাকারকে বেকসুর খালাস দেওয়া চলবে না। ২৪ কে যেমন আমরা ধারণ করি, চব্বিশের চেয়েও বড় শক্তি হচ্ছে একাত্তর। চব্বিশের রক্ত কোন সময় একাত্তর থেকে আলাদা হতে পারে না। যারা সে সময় দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল তাদের ইন্টেরিম সরকার আজকে বেকসুর খালাস দিচ্ছে। কোন রাজাকারকে কোন শাস্তি না দিয়ে কোনভাবেই খালাস দেওয়া চলবে না।’