এখনও আন্দোলনে জবির ২০ শিক্ষার্থী, লিখিত প্রজ্ঞাপনের দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ০৯:৫৪ PM , আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ০৯:২৮ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত চার দফা দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। টানা তিন দিন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে রাস্তায় অবস্থান ও ৫৬ ঘণ্টার কর্মসূচির পর শিক্ষার্থীদের দাবি মানার ঘোষণা আসে। এরই প্রেক্ষিতে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফিরে যাচ্ছেন। তবে এখনও মাঠে রয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী, যারা লিখিত প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে তাদের বৃষ্টিতে ভিজে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের জবি শাখা নেতৃবৃন্দরা জানান, লিখিত ব্যতীত আন্দোলন ছাড়বে না জবির গণ অনশনকারীরা! সেখানে উপস্থিত আছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের জবি শাখা সভাপতি এ কে এম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি।
শুক্রবার (১৬ মে) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম ইউজিসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দাবির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন বাজেট বৃদ্ধি করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুবিধা বাড়ানো হবে।”
তিনি আরও জানান, “আবাসন সংকট নিরসনে অস্থায়ী হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়া হবে, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।”
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেন, “আমরা ইউজিসিকে একটি পরিবার হিসেবে দেখি। আজ সারাদিন আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে আমরা একসাথে বসে সমাধান করব। সব দাবি বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এসময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে গণঅনশন ভাঙান।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন বলেন, “চতুর্থ দাবিতে ছিল আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। পুলিশ এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে, সাত দিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, সরকার সকল দাবি মেনে নিয়েছে, তাই শাটডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং শনিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবে চলবে। তবে তিনি হুঁশিয়ার করেন, “আবারও যদি গড়িমসি করা হয়, আমরা ভয়ংকর রূপে রাজপথে ফিরব।”
তবে এখনও লিখিত কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপন না আসায় ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী অনশন না ভেঙে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে গেছেন।
উল্লেখ্য, চার দফা দাবিতে টানা তিন দিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। শুক্রবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে গণঅনশন শুরু করেন অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী।