আল্টিমেটাম শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা পিএসসি সংস্কার আন্দোলনকারীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৪:২৯ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:০৭ PM
সাত দিনের আলটিমেটামের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কার আন্দোলনকারীরা। আজ বুধবার (৭ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের নেতারা এই কর্মসূচির ডাক দেন। সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন মোল্লা এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি অনুয়ায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তারা প্রশ্নফাঁস ও প্রশ্ন কিনে নেওয়া দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে এবং এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত দুটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানান।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা অনশন ও বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে বারবার বলেছি—এই প্রশ্নফাঁস চক্র ও প্রশ্ন কেনাবেচার সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে। অথচ কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা আবারও রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এসময় বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা ৮ দফা দাবি আদায়ের ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন পিএসসির কাছে। আমাদের অনশনরত অবস্থা একজন পিএসসির সদস্য, একজন সচিব ও একজন উপদেষ্টা এসেছিলেন। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে একটি কমিটি গঠন করা হবে। যারা ছাত্রদের সাথে কথা বলে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করবে। আমরা কেবল একজনের নাম শুনতে পেয়েছিলাম তিনি হলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এছাড়া আমরা সংস্কার কমিটির আরো কোন অগ্রগতি দেখতে পাইনি তারা সেদিন কথা দিয়েছিলাম প্রিলিমিনারি প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করবেন। এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি।
তাদের আট দাবি হল- ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বহিষ্কার ও শাস্তির ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যতে ৪৬ বিসিএস বাতিলের কোনো সম্ভাবনা হবে না, তার নিশ্চয়তা দেওয়া। ৪৫তম বিসিএস থেকে ভাইভার নম্বর ১০০ করা এবং প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা ও লিখিত পরীক্ষার ন্যূনতম দুই মাস আগে রুটিন প্রকাশ করা। সব বিসিএসের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করা। জুলাইয়ের ভেতর ৪৪তম বিসিএসের রেজাল্ট দিয়ে ভাইভা শেষ করে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা।
আরো পড়ুন: ইন্টার্নশিপ নিয়ে গড়িমসি, বাকৃবিতে কৃষি প্রকৌশল অনুষদে তালা
দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে কমিশনের সদস্য সংখ্যার সীমা ২৫-৩০ জনে উন্নীত করা। লিখিত খাতার মূল্যায়নে গতি বাড়ানো, নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা আনতে কমিশনে বসে খাতা দেখার ব্যবস্থা করা। পদের অপচয় রোধে ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে ভাইভা শেষ হওয়ার পর ও রেজাল্টের আগে ক্যাডার চয়েজ প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া। ৪৫ থেকে ৪৭তম বিসিএসের ক্ষেত্রে ভাইভার আগে আবার ক্যাডার চয়েজ পূরণের সুযোগ দেওয়া এবং পরবর্তী বিসিএসগুলো থেকে প্রিলিমিনারির আগে ক্যাডার পছন্দ না নিয়ে শুধু ভাইভার আগেই ক্যাডার পছন্দের সুযোগ দেওয়া।
সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও যথাসম্ভব স্বচ্ছ করা, ভেরিফিকেশনের হয়রানি কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া এবং গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করা। ৪৪তম বিসিএসের ক্যাডারের পদ বাড়ানো এবং নন ক্যাডার বিধি সংস্কার করে ভাইভা উত্তীর্ণ সবার ৯ম, ১০ম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করা।