টিএসসি থেকে আটক ছাত্রলীগ নেতাকে ছেড়ে দিল শাহবাগ থানা পুলিশ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ PM , আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আটক নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পুতুল চন্দ্র রায়কে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তার মুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এই বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আকরাম হোসেন তার ফেসবুকে সমালোচনা করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের ত্রাস, একাধিক হামলায় যার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিলো, সাংবাদিক পিটানোর নিউজও ছিলো ছাত্রলীগের স্কুল বিষয়ক সাবেক সম্পাদককে সমন্বয়করা আজ ধরে শাহাবাগ থানায় দেয়। শাহাবাগ থানায় দেয়ার পর পুলিশ তাকে চা খাইয়ে থানার পাশ থেকে গোলাপ ফুল দিয়ে থানা থেকে বের করে দিয়েছে।
এরআগে, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর টিএসসি সংলগ্ন চায়ের দোকান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেন। আটককৃত তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জয়-লেখক কমিটির স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরে এই নেতাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: টিএসসিতে ‘চা খেতে’ গিয়ে আটক ছাত্রলীগ নেতা পুতুল
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর টিএসসিতে চা খেতে এসেছিলেন পুতুল চন্দ্র রায়। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে চিনতে পেরে আটক করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে আসলে তাদের হাতে তুলে দেন তারা।
২০২১ সালের মার্চ মাসে ঢাবির আইন বিভাগের সামনে প্রস্রাব করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছিলেন পুতুল চন্দ্র রায়। পরে এ ঘটনায় এক কর্মীকে বহিষ্কারও করেছিল ছাত্রলীগ।
এছাড়ও ২০২২ সালের ১৭ মে টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগের মারামারির ঘটনাস্থলে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত এক সাংবাদিককে গালাগাল করে মারতে তেড়ে আসার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় একটি ভিডিও ফুটেজও সে সময় প্রকাশিত হয়েছিল।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ মনসুর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানায়, ২০২২ সালে ছাত্রলীগের সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিল। বর্তমানে সে বিআইডব্লিউটিএতে চাকরি করে। ২০২২ সালের একটি ঘটনায় সে অভিযুক্ত ছিল কিন্তু তার নামে দাখিলকৃত কোন মামলা নেই। তাই তাকে কোর্টে চালান করার কোন ভিত্তি পাওয়া যায় নাই বলে ছেড়ে দিতে হয়েছে।