৪ মাস পর আন্দোলনে নিহত সোহাগের লাশ উত্তোলন

ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে
ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে  © টিডিসি ফটো

আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সোহাগ মিয়ার (১৫) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ঘটনার চারমাস পর আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।

জানা গেছে, তার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন গ্রামে। সোহাগ মিয়া ওই গ্রামের শাফায়েত মিয়ার ছেলে। 

এরপর পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন। গত ২০ আগস্ট শাফায়েত মিয়া এ ব্যাপারে ডিএমপির ভাটারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনশ জনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই চীফ মেট্রোপলিটান আদালত সোহাগের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আর সে আদেশের প্রেক্ষিতেই বুধবার বিকেলে তার লাশ কবর থেকে তুলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

লাশ উত্তোলনের সময় নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার হোসেনসহ কলমাকান্দা থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের বাবা শাফায়াত মিয়া বলেন, সোহাগ মারা যাওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। তখন কেউ কারো কোন খোঁজ খবর নেয় না। এমন পরিস্থিতিতে বিনা ময়না তদন্তে বাড়িতে এনে লাশ দাফন করি। কিন্তু মামলা তদন্ত স্বার্থে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে। আজ পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করেছে।

উল্লেখ্য, নিহত সোহাগ পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার আসরের নামাজের পর বাসা থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বাবা মো. শাফায়েত ছেলেকে খুঁজতে বের হয়ে শুনেন তার ছেলে হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে সোহাগের নিথর দেহ। পরে হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে সোহাগের মরদেহ দাফন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ