লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৫ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৭ PM
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গণমিছিলে ধাওয়া করে লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর গাড়িচালক রাসেল শর্টগান নিয়ে অন্যান্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক চেয়ারম্যানের এক শুভাকাঙ্খী জানিয়েছেন, অস্ত্রটি উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে লাইসেন্সকৃত।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুর বাসায় ইটপাটকেল ছুড়লে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে পিটিয়ে আহত করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জুমার নামাজ শেষে চক বাজার এলাকায় টিপু নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে অবস্থান নেয়। তখন তারা শিক্ষার্থীসহ মুসল্লিদের ধাওয়া করে। ঘটনার সময় চেয়াম্যানের সরকারি গাড়িটি মসজিদের সামনেই ছিল। সেখান থেকে গাড়িটি তার বাসভবন তমিজ মার্কেট এলাকায় নিয়ে রাখা হয়। সেখানে গাড়িচালক রাসেল অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের পেছনে ধাওয়া করে।
অস্ত্র হাতে ধাওয়ার বিষয়ে জানতে গাড়িচালক রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, আমরা আন্দোলনের মাঠে থাকলেও দোষ, না থাকলেও দোষ। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে আমরা মাঠে ছিলাম।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার কালবেলাকে বলেন, ঘটনার সময় অস্ত্র হাতে কাউকে চোখে পড়েনি। এখন ফেসবুকে দেখছি। তার নাম-পরিচয় জানা নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান টিপু চকবাজার জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে তিনি শুক্রবার নেতাকর্মীদের নিয়ে জুমার নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে মুসল্লিদের দ্রুত বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল বের করেন চেয়ারম্যান টিপু।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল শেষ হলে কিছু সময় পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে বের হন। এতে পুলিশ বাধা দেয়। তবে পুলিশের বাধা ভেঙে মিছিলটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তখনই শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন টিপুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে ৭ থেকে ৮ জন শিক্ষার্থী।