ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যান্টিনে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের

  © লোগো

রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল ক্যান্টিনে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিন দফা দাবি জানিয়েছে ঢাবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান সায়েমের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

হল ক্যান্টিনে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দাবিগুলো হল- ক্যান্টিগুলোতে প্রশাসনিক মনিটরিং বাড়াতে হবে ও অবিলম্বে ভর্তুকি দিয়ে হলের ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমাতে হবে, হল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ডাইনিং সিস্টেম চালু করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন: খাবারের দাম বাড়ানোয় চবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ যৌথ এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা মহামারীর পর থেকে বৈশ্বিক মন্দার কথা বলে হলের ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের দাম আইটেম ভেদে আগের তুলনায় ১০/১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়ানো হয়েছিল ঠিকই কিন্ত মান বাড়ানো হয়নি। এই পরিস্থিতি যখন চলছিল তার মধ্যেই মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিল বিভিন্ন হলে প্রথম রমযানের সেহরির মূল্যবৃদ্ধি!ইজারা ভিত্তিক ক্যান্টিন ব্যবস্থায় খাবারের দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, বিভিন্ন হলের সেহরির মূল্য তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রতিটি আইটেম ৭০/৮০/৮৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। এই চিত্র দেখা গেলো বঙ্গবন্ধু হল, জিয়া হল, সূর্যসেন হল, মুহসীন হলে। শুধু সেহরির আইটেমে না এই মূল্য রাতের খাবেরও অপরিবর্তিত থাকবে। তার মানে আগে যে খাবারগুলো পাওয়া যেতো ৩৫/৪০/৪৫ টাকায় সেই খাবার এখন ডাবল দামে খেতে হবে। ছাত্রদের নাভিশ্বস অবস্থা! 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বললেই কি তারা সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের কম টাকায় ভালো মানের খাবারের ব্যবস্থা তৈরি করে দিবে? উত্তরটা আপনিও জানেন আমরাও জানি, ‘দিবে না’। কারণ ক্যান্টিন মালিকরা ইজারা ভিত্তিক ক্যান্টিন চালায় আর এতে তার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে লাভ করা। সেখানে দেশে দ্রব্যমূলের দাম বাড়ছে বলে খাবারের দাম বাড়ছে বলাটাই স্বাভাবিক। আর প্রশাসন এইসব ক্যান্টিন লিজ দিয়ে তার আয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করছে। আপনি কত দামে খাবার খাচ্ছেন, আপনি সুষম খাদ্য খেতে পারছেন কি না এসব দেখার সময় কি তাদের আছে? 

লিজভিত্তিক সিস্টেমকে বাতিল করতে হবে বলে করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। তারা বলেন, লিজ ভিত্তিক ক্যান্টিন কেনো হবে? হল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ডাইনিং ব্যবস্থা থাকবে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিবে যেন কম টাকায় শিক্ষার্থীরা ভাল মানের খাবার খেতে পারে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছি ‘খাবারের দাম কমাও—মান বাড়াও’, ‘অবিলম্বে ডাইনিং ব্যবস্থা চালু করো।’ আমরা সবাই মিলে যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, আওয়াজ না তুলি, তবে দাবিগুলো দাবি আকারেই থেকে যাবে, পূরণ আর হবে না। তাই যতদিন না পর্যন্ত দাবি পূরণ না হয় ততদিন পর্যন্ত আমরা শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সরব হওয়া ও আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence