অর্থাভাবে রাবিতে পড়া অনিশ্চিত মিমের

মিম আক্তার ও  ডালিম শেখ
মিম আক্তার ও ডালিম শেখ  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় চান্স পেয়েছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সহযোগিতা পেয়ে ভর্তিও হয়েছেন। তবে আগামী দিনগুলোতে কীভাবে পার করবেন সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

বলা হচ্ছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ভ্যানচালক বাবার মেয়ে মিম আক্তারের কথা। মিম ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাবিতে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।

মিম আক্তার জানায়, শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেছে।  চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি মেজ। ছোটবেলা থেকেই বহু কষ্ট করে লেখাপড়া করছেন। বাবা ভ্যান চালিয়ে যা আয় করেন, তা সংসার চালাতেই শেষ হয়ে যায়। অনেকবারই অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মিম আক্তারের বাবা ভ্যানচালক ডালিম শেখ বলেন, মেয়েটা ছোটকাল থেকেই মেধাবী। অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করে মেয়েটা লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ভার্সিটিতে ধার-দেনা করে ভর্তি করেছি। কিন্তু আগামী দিনগুলো কীভাবে তার খরচ চালাবো কোনোভাবেই তার হিসাব মেলাতে পারছি না। কিছু দিন আগে ভ্যানের চারটি ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে এলাকার কয়েকজনের কাছ থেকে ধার করে এবং এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাটারি কিনে লাগিয়েছি।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, মেয়েটির পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ