ভাইবোন কোটা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শতভাগ করার দাবি অভিভাবকদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০১ PM
আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুলে ভর্তিতে সহোদর ও জমজ ভাইবোনের ১০০ ভাগ কোটায় ভর্তি নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবকেরা। প্রতিবছর ভর্তি জটিলতাসহ নানা ধরনের হয়রানি ও আর্থিক অসঙ্গতি বিবেচনায় নিয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাইবোন কোটা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শতভাগ করার দাবি জানান প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবকেরা শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব, শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। অভিভাবকদের পক্ষে শাহাদাৎ ঢালী বলেন, আমরা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিল, মুগদা ও বনশ্রী শাখার অভিভাবকেরা রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ও খ্যাতিসম্পন্ন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সহোদর ও জমজ ভাইবোনদের ১০০ ভাগ ভর্তি কোটায় গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
অভিভাবকদের বক্তব্য, অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এ শহরের অসহনীয় যানজট, ব্যস্ততম জীবন, অভিভাবকদের এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে ছুটে চলা, অর্থনৈতিক অসঙ্গতিসহ উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবের কারণে অভিভাবকেরা সন্তানদের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে পারছেন না। এ অবস্থায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহোদর ও জমজ ভাইবোনদের অন্য স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া অভিভাবকদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকেরা সহোদর ও জমজ ভাইবোনদের আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০০ ভাগ ভর্তি কোটায় গ্রহণের জন্য শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাইবোন কোটায় শতভাগ ভর্তি কোটায় গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, অভিভাবকদের দাবির চিঠি আমরা পেয়েছি। গভর্নিং বডির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুল ভর্তি নীতিমালায় ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর বা যমজ ভাইবোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে সেসব সহোদর বা যমজ ভাইবোনের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। কোনো দম্পত্তির সর্বোচ্চ ২ সন্তানের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে। আবেদনসংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তিতে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করবে।