প্রশ্নপত্রে শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ, স্কুলে হট্টগোল

নোয়াখালী জিলা স্কুল
নোয়াখালী জিলা স্কুল  © ফাইল ছবি

পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নে ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক’ উল্লেখ করায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন নোয়াখালী জিলা স্কুলের শিক্ষকেরা। পরীক্ষা শেষে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হট্টগোল শুরু করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সুধারাম থানা পুলিশ । 

রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী জিলা স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোয়াখালী জিলা স্কুলে গত সপ্তাহে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে।  রবিবার (১ ডিসেম্বর) ছিল পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রদের মধ্যে। এ সময় অর্ধশতাধিক ছাত্র প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে হট্টগোল শুরু করে এবং কক্ষে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায়।  প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক আবুল হোসেন গাজীকে ডেকে পাঠান। তিনি ভুলক্রমে ওই প্রশ্ন করেছেন বলে প্রধান শিক্ষককে জানান।

আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে প্রশ্ন আসায় সবাই হট্টগোল শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকে অবহিত করলে তিনি প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক আবুল হোসেন গাজী স্যারকে ডেকে পাঠান। ভুলে এমন হয়েছে বলে স্বীকার করেন ওই শিক্ষক। এরপর শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে যায়।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া জানান, পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি পাঠ (লেসন) রয়েছে। সেখান থেকে প্রশ্ন করতে গিয়ে শিক্ষক আবুল হোসেন গাজী স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করেছেন। এরই প্রতিবাদে বিষয়টি নিয়ে অনেকে তার দপ্তরে এসে কথা বলেছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব করলে ওই শিক্ষক তার ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ভুল না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা থাকতে বলা হয়েছে। 

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালী জিলা স্কুলের প্রশ্নপত্রে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করায় কিছুটা হট্টগোল হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং ওই শিক্ষক ভুল স্বীকার করায় শিক্ষার্থীরাও তাদের বাসায় ফিরে যায়।

জেলা শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, আমাকে বিষয়টি বিদ্যালয়ের কেউ জানায়নি। প্রশ্ন প্রণয়ন ও যাচাই-বাছাই আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence