বিকেলে আসছে সিদ্ধান্ত

সবার আগে খুলবে কম সহিংসতা প্রবণ এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, দাবদাহ ও বন্যার পর এবার আন্দোলনের কারণে দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা থমকে গেছে। বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক স্কুলগুলো। মাধ্যমিক পর্যায়ে ষাণ্মাসিক মূল্যায়নও স্থগিত। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে সবার আগে খুলে দেওয়া হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সবার আগে খোলা হলেও সব অঞ্চলের স্কুল একসঙ্গে খোলা হবে না। ধাপে ধাপে বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কম সহিংসতা প্রবণ এলকার বিদ্যালয়গুলো আগে খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভা ডাকা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে বিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান চালুর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে শুরুতে সব জেলার বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে না। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বিদ্যালয়গুলো আগে খোলা হবে। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে উচ্চপর্যায়ে সভা ডাকা হয়েছে। আজ বুধবার এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু করতে চাই। সব বিদ্যালয় একসঙ্গে খুলে দেওয়া হবে না। ধাপে ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো চালু করা হবে। কোন অঞ্চলের বিদ্যালয় আগে খোলা হবে। শ্রেণিক্ষের কর্মসূচি কতঘণ্টা হবে সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভা ডাকা হয়েছে। সভা শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে। 

এর আগে, কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যদিও জুলাইয়ের শুরুতেই পেনশন এবং কোটা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেলে পুরোপুরি স্থবিরতা নেমে আসে শিক্ষাব্যবস্থায়। গত ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুর হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে যায় সারা দেশে। একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘাতে শিক্ষার্থীসহ ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, আহত হয় কয়েক হাজার মানুষ। 

সূত্রমতে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩ কোটি ৭০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আরো প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী। এভাবে টানা বন্ধের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় প্রায় সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে।

তবে কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে চায় সরকারও। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পর নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় ধাপে ধাপে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence