প্রতি ৫ মিনিটে একটি করে বদলির তদবির পাচ্ছেন প্রাথমিকের সচিব

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ  © ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানায় বদলির অনলাইন আবেদনগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন এসব আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এসব আবেদন জেলা-উপজেলা হয়ে অধিদপ্তরে এসে অনুমোদন পাবে। যাতে করে শিক্ষকদের এসব আবেদন কোনোভাবে আটকে না যায়, সেজন্য আগে থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এখন থেকে ভিড় করছেন তারা। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে বদলির তদবির নিয়ে বিব্রত মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর সচিবের কাছে বদলির তদবিরের কল আসছে। অনেকে সচিবালয়েও বদলির তদবির নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য সচিব মাঝে মাঝেই তার ফোন বন্ধ করে রাখছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সাধারণ প্রার্থী কিংবা যারা সুপারিশ করছেন তাদের কোনোভাবেই বোঝানো যাচ্ছে না যে বদলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। এখানে তদবিরের কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, বদলিপ্রত্যাশীরা আবেদন করেছেন অনলাইনে। এটি এখন সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই-বাছাই হবে। এরপর যোগ্যতা অনুযায়ী সংশ্লিষ্টরা বদলির সুযোগ পাবেন। এখানে মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছুই করার নেই।

এর আগে গত ৩০ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানায় বদলির অনলাইন কার্যক্রম শুরু হয়। যা চলে ১ এপ্রিল পর্যন্ত।

জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক আবেদন যাচাই করেছেন। ৩ ও ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসাররা আবেদন যাচাই শেষ করেছেন। ৫ থেকে ৭ এপ্রিল উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসাররা আবেদন যাচাই ও অগ্রগতি শেষ করেছেন। ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহকারী শিক্ষকের আবেদন যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের আবেদন যাচাই ও অগ্রগতি সম্পন্ন করেছেন। ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল বিভাগীয় উপপরিচালক আবেদন যাচাই ও অনুমোদন করবেন। এরপর তা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয় ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি।

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence