টিউশন ফি ছাড়াই পিএইচডি করুন চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে, সঙ্গে ৬ লাখ টাকা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৩ PM , আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩১ AM
বর্তমানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষায় পছন্দের এক গন্তব্য হচ্ছে চীন। বিনামূল্যে চীনের ২৭টি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ১ অথবা ২ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর এবং ৩ বছর মেয়াদি পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যায়নের সুযোগ দিচ্ছে চীন সরকার। আবেদনের শেষ সময় ১ এপ্রিল ২০২৪।
চীনের মিনিস্ট্রি অব ফাইন্যান্সের অর্থায়নে “মফকম” স্কলারশিপের আওতায় নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহজে ভর্তি, আকর্ষণীয় স্কলারশিপ এবং শিক্ষা শেষে চাকরির সুযোগ- এসব কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখন চীন যেতে উৎসুক।
সুযোগ-সুবিধাঃ-
* সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে।
* স্নাতকোত্তরের জন্য বছরে ৩৬ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা) ভাতা প্রদান করবে।
* পিএইচডিতে ৪৮ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা) ভাতা প্রদান করবে।
* স্থানান্তর ভাতা হিসেবে এককালীন ৩ হাজার ইউয়ান প্রদান করবে।
* বিনামূল্যে ক্যাম্পাসে আবাসন সুবিধা প্রদান করবে।
* বই এবং ট্রেনিংসামগ্রী ভাতা প্রদান করবে।
* গবেষণা সহায়তা প্রদান করবে।
* মেডিকেল ইনস্যুরেন্স প্রদান করবে।
* চীনে যাতায়াতের বিমান টিকিট প্রদান করবে। (১ বছরের বেশি সময়ের কোর্স হলে, প্রতিবছর একবার ভ্রমণের জন্য যাতায়াতের বিমান টিকিট)।
উল্লেখ্য, প্রথম বছরের পর বাৎসরিক রিভিউ হয় এবং সেখানে সন্তোষজনক ফল করলেই দ্বিতীয় বছরের জন্য স্কলারশিপ পান শিক্ষার্থীরা।
![Happy excited beautiful graduate student with a University degree, shows a victory gesture and is happy. Concept of the graduation ceremonyの素材 [FY310145371193] | ストックフォトのamanaimages PLUS](https://images.assetsdelivery.com/compings_v2/marushy/marushy2004/marushy200400861.jpg)
আবেদনের যোগ্যতাসমূহঃ-
সরকারি কর্মচারী, রিসার্চ ফেলো এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ৩ বছর কাজ করা এবং ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করা অভিজ্ঞ প্রফেশনালরা আবেদন করতে পারবে।
* বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
* বয়স ৪৫ বছরের কম হতে হবে।
* আইইএলটিএস স্কোর ৬
প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-
* পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
* পাসপোর্টের কপি।
* আবেদনকারীর জীবনবৃত্তান্ত/একাডেমিক সিভি।
* স্টেটমেন্ট, গবেষণা প্রস্তাবনা এবং ক্যারিয়ার ভাবনা
* নোটারি কর্তৃক সত্যায়িত সব নম্বরপত্র এবং সার্টিফিকেট।
* দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার, এবং প্রফেশনাল রিকমেন্ডেশন
* ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমানপত্র (আইএলটিএস)
* ফরেন মেডিকেল সার্টিফিকেট।
* বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনপত্র।
* স্কলারশিপের জন্য আবেদনপত্র (পূরণ করা)।
আরও পড়ুন: স্নাতক-স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টার্নশিপ, প্রতি কর্মদিবসে ২৪০০ ইয়েন
আবেদন প্রক্রিয়াঃ-
স্কলারশিপের জন্য দুইভাবে আবেদন করা যায়। সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। আবার সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। দূতাবাসের স্কলারশিপ থাকে নির্দিষ্ট এবং প্রতিযোগিতামূলক।

আবার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু অনলাইনে আবেদন করলেই হয়, আবার কোথাও অনলাইনের আবেদনের সঙ্গে হার্ডকপিও পাঠাতে হয়। স্কলারশিপের আবেদন সংক্রান্ত সবকিছু ওয়েবপেজে উল্লেখ থাকে।
আবেদন করতে এবং মফকম স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন