আইএলটিএস ছাড়াই স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে অধ্যায়নের সুযোগ

আইএলটিএস ছাড়াই স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে অধ্যায়নের সুযোগ
আইএলটিএস ছাড়াই স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে অধ্যায়নের সুযোগ  © সংগৃহীত

বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটিতে আছে, বিশ্ব বিখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনা অন্যতম। ইউরোপের তৃতীয় পুরাতন এই বিশ্ববিদ্যালয়। অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বদা বিশ্ব র্যাং কিং শীর্ষ সারিতে থাকে। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। আজ আমরা এমন স্কলারশিপ সম্পর্কে জানবো, যেগুলোয় শিক্ষার্থীরা আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন করতে পারবে। 

অস্ট্রিয়া পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত। দেশটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকাই পর্বতময়। ১৯৩৯ সালে নাৎসি জার্মানি অস্ট্রিয়াকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে নেয়। বর্তমানে দেশটি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।দেশটির অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত। 

(১) অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন স্কলারশিপঃ- 
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়া সরকার সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিনা মূল্যে পড়াশোনার জন্য এই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এই স্কলারশিপের আওতায় শর্ট কোর্স, স্নাতক , স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে শিক্ষার্থীরা অধ্যায়নের সুযোগ পাবে। দেশ ও প্রোগ্রামভিত্তিক আলাদা আলাদা স্কলারশিপের তালিকা আছে, যেগুলোর সময়সীমাও ভিন্ন ভিন্ন। 

অধ্যায়নের বিষয়সমূহঃ-  
* মেডিকেল সায়েন্স
* হিউম্যান মেডিসিন
* টেকনিক্যাল সায়েন্স
* হেলথ সায়েন্স
* মানবিক
* কলা
* প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
* সামাজিক বিজ্ঞান

সুযোগ-সুবিধাঃ- 
* স্বাস্থ্য বিমা
* যাতায়াত ভাতা
* বাসস্থান ভাতা
* মাসিক ভাতা

যোগ্যতাসমূহঃ- 
* ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর অবশ্যই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে মোট ১২ বছরের শিক্ষাজীবন পূর্ণ করতে হবে।
* মাস্টার্সে আবেদনের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে এবং পিএইচডিতে আবেদনের জন্য অবশ্যই ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।
* পিএইচডি প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর এবং ব্যাচেলর ও মাস্টার্স প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে পারবে।
* অস্ট্রিয়ার নাগরিক ব্যতীত অন্য যেকোনো দেশের নাগরিকেরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন প্রক্রিয়াঃ- 
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে ক্লিক করু 

(২) অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন স্কলারশিপঃ-
এই স্কলারশিপটি দুইটি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়। (১) এডিসি অগ্রাধিকার দেশ (২)উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় এদেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় ৩১ মার্চ এবং কোর্স শুরু ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ২০২৪ সালের মে মাসেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 

অধ্যায়নের বিষয়সমূহঃ-  
ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট। এছাড়া ইলেকটিভস হিসেবে থাকবে শিল্পোদ্যোগ তথা এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ তথা টিচার্স ট্রেনিং। পড়াশোনা করতে হবে অস্ট্রিয়ার ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে।

সুযোগ-সুবিধাঃ- 
* টিউশন ফি। 
* স্বাস্থ্য বিমা।
* খাবার টাকা।
* ভ্রমণ ভাতা।
* ২০৫ ইউরো বা প্রায় ২৫ হাজার টাকা মাসিক হাতখরচ। 

যোগ্যতাসমূহঃ- 
* অস্ট্রিয়ার নাগরিক ব্যতীত অন্য যেকোনো দেশের নাগরিকেরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
* বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।

আরও পড়ুন: স্নাতকোত্তর করুন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ শেফিল্ডে, সঙ্গে ১৩ লাখ টাকা

আবেদন প্রক্রিয়াঃ- 
ঢাকাস্থ অস্ট্রিয়ার দূতাবাসে যোগাযোগ করে কিংবা আইটিএইচের (ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট) ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে।

আবেদন ফরম ডাউনলোড করে তা ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে office@ith-salzburg.at ই-মেইলে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করা যাবে।

ফরম ডাউনলোড  করতে ক্লিক করেন

স্নাতকোত্তর করুন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডে

সঠিকভাবে পূরণকৃত আবেদন ফরম office@ith-salzburg.at ই-মেইলে পাঠিয়ে দিতে হবে। আবেদন ফরম ওয়েবসাইটে দেওয়া ঠিকানায় ডাকযোগেও পাঠানো যাবে। কর্তৃপক্ষ আবেদন ফরম হাতে পেলে একটি ফিরতি ই-মেইলে জানিয়ে দেবে।

ভর্তি আর খরচের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

এছাড়াও আইইএলটিএস ছাড়াই অস্ট্রিয়ার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে

১। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় (Vienna University):-
এখানে ইংরেজি, ব্যবসা, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান নিয়ে পড়তে গেলে ইংরেজিতে দক্ষতার সার্টিফিকেট দরকার হয়। তবে এখানে ভর্তির সময় আইইএলটিএস দরকার হয় না। 

bf02a47d-15bf-4e87-bc87-6bf340c401c9

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

২। মডুল বিশ্ববিদ্যালয় (Modul University):-
এটি অস্ট্রিয়ার অন্যতম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বাংলাদেশিরা এইচএসসির পরই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শুরুতে এক সেমিস্টারের একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করতে হবে। তাহলে আর আইইএলটিএস লাগবে না, কোর্সের শেষে থাকবে পরীক্ষা। মূল ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির সময় আইইএলটিএস ৫.৫ স্কোর লাগবে। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

৩। ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস টেকনিকুম উইন (University of Applied Sciences Technikum Wien):-
এখানে পড়তে ইংরেজি অথবা জার্মান ভাষায় দক্ষতা লাগে। তবে যদি আপনি আগের প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে কোনো ভাষাগত দক্ষতার সনদ দরকার হবে না। 

৪। সালজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University of Salzburg):-
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে  ইংরেজি বা জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকতে হয়। আইইএলটিএস থাকতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।  শিক্ষার্থী ইংরেজিতে খুব দক্ষ, এমন একটি রিকমেন্ডেশন লেটার থাকলেই হয়। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


সর্বশেষ সংবাদ