আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা

  © সংগৃহীত

আজ পবিত্র মাহে রমজানের বিদায়ী জুমা, আরবিতে ‘জুমাতুল বিদা’। মাহে রমজানকে বিদায় জানানোর সম্ভাষণ এ পবিত্র জুমাটি আমাদের দেশে ও সারা বিশ্বে জুমাতুল বিদা হিসেবে পরিচিত। জুমাতুল বিদা অর্থ মহিমান্বিত, ফজিলতময় মাহে রমজানের শেষ জুমা। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে জুমার দিনের অনেক ফজিলত রয়েছে।

কোরআনুল কারিমে আল্লাহতায়ালা ‘জুমা’ নামে স্বতন্ত্র একটি সুরা নাজিল করেছেন, যা পবিত্র কোরআনের ২৮ নম্বর পারায় বাষট্টি নম্বর সিরিয়ালে অবস্থিত। এখানে আল্লাহতায়ালা জুমা সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করেছেন। অনুরূপভাবে রাসুলে করিম (সা.) হাদিস শরিফে জুমার দিনকে ‘সাইয়্যেদুল আইয়াম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সাইয়্যেদুল আইয়াম অর্থ হচ্ছে মাসের দিনগুলোর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম দিন।

এ জুমার দিনটা যখন রমজানুল মোবারকে হয় এবং রমজানের শেষ জুমা হয়, তখন অবশ্যই এর গুরুত্ব, ফজিলত আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। একে তো হচ্ছে জুমাতুল বিদা মাহে রমজানে, দ্বিতীয়ত তা হচ্ছে রমজানের শেষ দশকে, যার রয়েছে অনন্য ফজিলত। তাই বিদায়ী জুমার আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে।

শেষ জুমা বা বিদায়ী জুমা একদিকে আমাদের জন্য আনন্দের, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের। আল্লাহতায়ালা মেহেরবানি করে এত বড় মেহমান, এত বড় সম্মানিত মাস আমাদের দান করেছেন, তারই তাওফিক ও দয়ায় আমরা সে মাসের শেষ পর্যায়ে উপনীত হতে পেরেছি। সেই সঙ্গে বিদায়ী জুমা আমাদের জন্য অত্যন্ত ব্যথা, কষ্ট ও বিরহেরও বটে।

রমজানের শেষ জুমা আমাদের মুহাসাবা তথা আত্মমূল্যায়নের দিন। কারণ, রমজান হলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। রমজান রাসুল (সা.)-এর ভাষ্য অনুযায়ী সহমর্মিতা ও সবরের মাস। রমজানের এই গুণ ও বৈশিষ্ট্যগুলো আমরা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি। বিদায়ী জুমায় এসে আমার জন্য যা করণীয় আছে, তন্মধ্যে অন্যতম করণীয় হচ্ছে এ মুহাসাবা তথা আত্মমূল্যায়ন করা। নিজেদের আমলের হিসাব আমরা নিজেরা গ্রহণ করব।

কেননা হজরত আবু ইয়ালা শাদ্দাদ ইবন আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে তার নফসের প্রবৃত্তির হিসাব গ্রহণ তথা আত্মপর্যালোচনা করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য (নেক) কাজ করে। আর দুর্বল সে ব্যক্তি, যে স্বীয় নফসের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, আবার আল্লাহর কাছেও (ভালো কিছু প্রাপ্তির) আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।’ (তিরমিজি : ২৪৫৯; মুজামুল কাবীর : ৬৯৯৫)

তাই রমজানের এই শেষ দিকে এসে আমাদের উচিত আমরা নিজেদের হিসাব গ্রহণ করব, পেয়ারে হাবিবের শানে দুরুদ পাঠ করব, সুরা কাহফ তেলাওয়াত করব। সেই সঙ্গে লাইলাতুল কদরের প্রতিও বেশি গুরুত্বশীল হবো। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে বিদায়ী জুমার বিশেষ গুরুত্ব অনুধাবন করে রমজানের পূর্ণ ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence