কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

ব্যক্তিগত কক্ষে বিভাগীয় প্রধানের এসি

মো. এমদাদুল হকের রুম
মো. এমদাদুল হকের রুম  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত না মেনে বিভাগীয় প্রধানের কক্ষের জন্য বরাদ্দ হওয়া এসি নিজের রুমে স্থাপন করেছেন তিনি। 

জানা যায়, বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে ইতোপূর্বে এসি থাকায় শিক্ষকরা বরাদ্দকৃত এসি’টি শ্রেণীকক্ষে স্থাপনের পক্ষে মতামত দেন। কিন্তু মো. এমদাদুল হক শিক্ষকদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে ব্যক্তিগত কক্ষে স্থাপন করেন। যেখানে মো. এমদাদুল হক এবং সাবেক বিভাগীয় প্রধান ফেরদৌস জাহান বসেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক শিক্ষক। কিন্তু বর্তমান বিভাগীয় প্রধানের অসহিষ্ণু আচরণের কারণে তারা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌস জাহান বিভাগের প্রধান থাকাকালীন সময়ে Kelvinator ব্রান্ডের KSV-24 BDINV মডেলের একটি এসি বিভাগীয় প্রধানের রুমের জন্য বরাদ্দ করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ডিন, প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মকর্তার কক্ষে ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৪টাকা বাজেটে নতুন করে ২৭টি দুই টন (এসির সক্ষমতা পরিমাপের একক) ও নয়টি ১ দশমিক ৫টন করে মোট ৩৬টি এসি লাগানো হয়েছে। এরমধ্যে ১৯টি বিভাগে ২১টি এসি বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এদিকে মো. এমদাদুল হক বলছেন ভিন্ন কথা। বিভাগীয় প্রধানের কক্ষের জন্য বরাদ্দ হওয়া এসি নিজের রুমে স্থাপন করা যায় কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে আগে থেকেই এসি আছে এবং আমাদের সবগুলো শ্রেণীকক্ষেও আছে তাই আমি এটা নিজের রুমে স্থাপন করেছি। কিন্তু যদি আমাদের সেমিনার রুম থাকতো তাহলে অবশ্যই সেমিনার রুমে লাগানো হতো। 

তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভাগটির ৩০২ নম্বর শ্রেণীকক্ষে এসি নেই। এছাড়াও অ্যাকাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে এমন সিদ্ধান্ত কবে নেয়া হয়েছে সেটাও জানেন না অধিকাংশ শিক্ষক।

আরও পড়ুন: আমরা গোলাম নই!! আমরা ছাত্র— একক অবস্থানে ঢাবি শিক্ষার্থী

বিভাগে অন্যান্য শিক্ষক থাকতে ওই রুমেই কেন লাগালেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমরা সিনিয়রিটি বেসিসে লাগিয়েছি। ওই কক্ষে আমরা দু’জনই সিনিয়র শিক্ষক। আমাদের অ্যকাডেমিক কমিটির মিটিং সবসময় হয় না। এটা অনেক আগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল যে, বিভাগে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস দেওয়া হলে তা আগে সিনিয়র শিক্ষকরা পাবেন। 

ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিতরণের বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কমিটির মিটিং অনুযায়ী নথিভুক্ত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি এসি কোথায় লাগাবো সেটা আপনার কাছে জবাবদিহি করতে হবে নাকি।  

এ বিষয়ে বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। এ ব্যাপারে আমি যদি কোন লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।


সর্বশেষ সংবাদ