‘ফিরে আসার গান’ দিয়ে খুবিতে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শুরু ভৈরবীর
- প্রান প্রতিম কুন্ডু, খুবি
- প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২২, ০৪:০৮ PM , আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২২, ০৪:৩৭ PM
বছরের প্রায় সবটুকু সময়ই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচিতে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর থাকে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে অনেকটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে এসব আয়োজন। এ বাধা কাটিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসছে অতীত ঐতিহ্য। দীর্ঘদিন পর ‘ফিরে আসার গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠান নিয়ে আসছে ক্যাম্পাসের সঙ্গীত বিষয়ক সংগঠন ‘ভৈরবী’।
ক্যাম্পাসের একটি চিরচেনা রূপ রাতের বেলা বিভিন্ন স্থান থেকে ভেসে আসা মাতাল করা গানের সুর। কখনো লাইব্রেরি গেট, কখনো তপনের দোকান, কখনো ক্যাফেটেরিয়া আবার কখনো খাজার মাঠ হয়ে ওঠে গানের আড্ডার কেন্দ্রবিন্দু। তবে, করোনা মহামারীর সময়ে চিরোচেনা এই ক্যাম্পাস নিস্তব্ধতায় ডুবে গেছে।
খুবিতে ২৫টির বেশি সংগঠন রয়েছে। সংগঠনগুলো বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত। করোনা মহামারীর সময়ে সামাজিক সুরক্ষার কারণে এসব সংগঠনের কার্যক্রম অনেকাংশে হ্রাস পায়। ভৈরবীও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই, নতুনভাবে তবে আগের মতো গান-আড্ডায় ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে মারা গেলেন বলিউডের গায়ক কেকে
গত ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঠিক সন্ধ্যে নামার আগে লাকী আকন্দের গান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে লোক গান, রবীন্দ্রোসঙ্গীত, আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ঘরানার গান পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি সমবেত সূরে গেয়ে শোনান ভৈরবীয়ানরা। তাদের সাথে যুক্ত হয় সাধারণ শ্রোতা ও দর্শকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় শ্রোতা ও দর্শকদের করতালি ও উৎসাহে উৎফুল্ল থাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বর। ভৈরবীর প্রধান সমন্বয়ক সাকিব রহমান প্লাবন বলেন, দীর্ঘদিন পর ছোটখাটো এই আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের ফিরে আসা। শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে এই আয়োজন সফল হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জারিন রেশনী প্রভা বলেন, প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রী হিসেবে ‘ভৈরবী’ আয়োজিত ‘ফিরে আসার গান’ অনুষ্ঠানটি আমার কাছে একেবারেই নতুন একটি অভিজ্ঞতা। সিনিয়র-জুনিয়র সকলের সম্মলিত অংশগ্রহণে খুবই আনন্দঘন একটি মুহুর্ত কেটেছে আমার জন্য।