ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হুমকির ভয়ে নিরাপত্তা চেয়েছেন ৪ ববি শিক্ষার্থী

চার শিক্ষার্থী
চার শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা চেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চার শিক্ষার্থী প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। রোববার (৭ আগস্ট) বিকেলে প্রক্টরের কাছে বাংলা ও লোক প্রশাসন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী পৃথক লিখিত আবেদন জমা দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রসায়ন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী পৃথক লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলেন।

চার শিক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এরমধ্যে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ।

নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করা শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: রাব্বি খান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: ইরাজ রব্বানী ও রসায়ন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো: সাইমুন ইসলাম।

আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিনতাইয়ের শিকার ঢাবি শিক্ষার্থী

লিখিত আবেদনে তার উল্লেখ করেন, ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও তারা ঠিকমতো ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না। মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত ও তার সহযোগীরা ক্যাম্পাসে না আসতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এমনকি তারা যেখানে থাকছেন সেসব ছাত্রাবাস ও মেসে গিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত ও তার সহযোগীরা হুমকি দিচ্ছেন। হুমকির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। শিক্ষা জীবন ধ্বংসের আশঙ্কা করছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। এরপরও দুটি পক্ষ নিজেদের ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। একপক্ষ বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী ও অপর পক্ষ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, চার শিক্ষার্থীর লিখিত আবেদন পেয়েছি। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা যেন ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নিতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় বিভাগের চেয়ারম্যান ও ছাত্র উপদেষ্টাকে ব্যবস্থা গ্রহণে অবহিত করা হয়েছে।

আরো জানা যায়, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে ক্যাম্পাসে নেতৃত্বে রয়েছেন অমিত হাসান ওরফে রক্তিম। সিটি মেয়রের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে সিফাত। বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ ৫ জুলাই রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হন। এরপর থেকেই মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের সহযোগী ও অনুসারীরা ক্যাম্পাসে দল বেধে মহড়া দেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ