সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাড়াবাড়ি করেছে: ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ  © সংগৃহীত

ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল হোসেন বলেছেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাড়াবাড়ি করেছে। তারা কলেজ ক্যাম্পাসে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এতে শিক্ষকসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ টি এম মইনুল হোসেন বলেন, পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলের আঘাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। কলেজ ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ করে তোলা হয়েছে। আমরা এই অনিরাপত্তার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না সেটা পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত তিন ছাত্রলীগ নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে তাদের তিনজনকে শনাক্ত করা হয়।

জানা গেছে, সোমবার ইফতারের সময় টেবিল বসানোকে কেন্দ্র করে ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পীর সঙ্গে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মচারী কাওসারের ঝগড়া হয়। এর জেরে বাপ্পী ও তার সহকর্মী সজীবের ডাকে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মীদের শায়েস্তা করতে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের তিন কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগের নাসিম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লিটন ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের আবদুল্লাহ আল মাসউদ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এই তিনজনই ২০১৬-২০১৭ সেশনের শিক্ষার্থী

আরও পড়ুন: নিউমার্কেট এলাকায় সাদা পতাকা উড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা

পরবর্তীতে এই তিনজনের নেতৃত্বে ঢাকা কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মীদের মারধর শুরু করেন। পরে ক্যাপিটালের কর্মীরা তাদের দোকানে থাকা ছুরি, চাকু নিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পাল্টা হামলা চালান। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাসে গিয়ে তারা জানায় কেনাকাটা করতে যাবার পর নিউমার্কেটের দোকানিরা তাদের ওপর হামলা করেছে। এই খবরেই দলে দলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা হেলমেট পরে বের হয়ে নিউমার্কেট, ধানমন্ডি হকার্সে ব্যাপক ভাংচুর শুরু করলে সংঘর্ষটি নিউমার্কেট বনাম ঢাকা কলেজে রূপ নেয়।

ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মী পারভেজ, ফারুক ও হোসেন জানান, আমাদের ফাস্টফুডে মোট আটজন কর্মী আছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের টেবিল পাতা নিয়ে কাওসার ও বাপ্পীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাত ৮টার দিকে ওয়েলকাম ফাস্টফুডের আরেক কর্মী সজীবকে নিয়ে বাপ্পী তাদের দোকানে আসেন। সজীব ও বাপ্পী কাওসারকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের বেশ কিছু ছাত্র নিয়ে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের সামনে আসেন বাপ্পী ও সজীব। তারা কাওসারসহ অন্য কর্মচারীদের মারধর শুরু করেন। এতে এক কর্মচারী বাবুর মাথা ফেটে যায়।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত বারোটার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুরু হয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ। যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত।

মধ্যরাতে দুই পক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার সকাল থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ব্যবসায়ীরা সড়কে চলে এলে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence