বেরোবি হল কর্মচারীকে পেটালেন বরখাস্ত নৈশ প্রহরী
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ০৭:২৭ PM , আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ০৭:২৭ PM
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অফিস সহকারী ময়নুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করেছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদে কর্মরত কর্মচারী-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম মিয়া।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রংপুরের পীরগঞ্জ থানাধীন দূরামিঠাপুর মৌজাস্থ তুবা ফিলিং স্টেশনে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী ময়নুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীর অভিযোগসূত্রে জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জ থানাধীন দূরামিঠাপুর মৌজাস্থ তুবা ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলে পেট্রল নেওয়ার জন্য দাঁড়ালে অভিযুক্ত নুর আলম মিয়া ময়নুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে মটরসাইকেলের হেলমেট খুলে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এতে ভুক্তভোগী ময়নুল ইসলামের শরীরে বেশকিছু জখমের সৃষ্টি হয়। পরে চরম মারধরে ও ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকেরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মায়ের কিডনিতে নতুন জীবন পেলেন বেরোবি শিক্ষার্থী জাহিদ
ময়নুল ইসলাম জানায়, বেরোবির কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী গঠনতন্ত্রের ধারা-১০ সংশোধন করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী সাময়িক সাসপেন্ড ব্যক্তি ভোট দিতে পারলেও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তিনি এই গঠনতন্ত্রের একজন সদস্য হিসেবে এর বিরোধিতা করলে দুইজনের মনোমালিন্য হয়। যার সূত্র ধরে নৈশ প্রহরী নুর আলম মিয়া তাকে সুযোগ পেয়ে মারধর করেন।
অভিযুক্ত নুর আলম মিয়া বলেন, অভিযোগকারী ময়নুল ইসলাম যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। ফিলিং স্টেশনে তার সাথে দেখা হয়। তখন সে আমাকে কোন বাপের কাছে যাচ্ছি বলে ক্ষেপানোর চেষ্টা করে। এটি বলায় আমি তাকে শার্টের কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামাই। এর বেশি কিছু না।
প্রসঙ্গত, এর আগে গণিত বিভাগের অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. আর এম হাফিজুর রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করার দায়ে নুর আলম মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা এখনো চলমান।