নবীনদের ভাবনা

শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করতে চাই

শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করতে চাই
শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করতে চাই  © টিডিসি ফটো

দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে পা দিয়েছে একঝাঁক নবীন শিক্ষার্থী। স্বপ্ন পূরণের এই যাত্রাটা কেমন ছিল, ক্যাম্পাসে পদচারণার অনুভূতি, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের প্রত্যাশা কেমন? নবীন শিক্ষার্থীদের এসব অনুভূতি তুলে ধরেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সোহেল রানা

রাজবাড়ী থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ভর্তি হাওয়া শাহারিয়ার আলম বলেন, এখানে ভর্তি হতে পেরে আমি খুবিই আনন্দিত। প্রতিটা মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে, আমিও তার ব্যবরিশালতিক্রম নয়। আমার এবং আমার পরিবারের স্বপ্ন ছিল একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। আমি সেটা পূরণ করতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া।

আসলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা পড়াশোনার জন্য খুবিই উপযুক্ত। তাছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ভাই, বোনেরা খুবিই আন্তরিক। সেটা বুঝতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন থেকেই। আমি মনে করি আমরা সকলে মিলে আমাদের পড়শোনা, খেলাধুলা, বিভিন্ন কার্যক্রম এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে পারব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করবো। তার পাশাপাশি নিজ বিশ্ববিদ্যালয় কে একদিন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবো।

বরগুনা থেকে ভর্তি হওয়া ফারিহা জাহান বলেন, আপ্লুত হই যে আমি আমার স্বপ্নকে ছুঁতে পেরেছি। আব্বু আমাকে সবসময়ই বলতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারলে জীবনে অনেকখানি পূর্ণতা পাবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের খুব বেশিদিন হয়নি। কিন্তু আব্বুর কথার সত্যতা আমি এর মধ্যেই উপলব্ধি করছি।

আরও পড়ুন: সাফল্যের ১১ বছর পেরিয়ে প্রাণের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য সত্যিই মোহিত করার মতো। এখানের প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে যে সহমর্মিতা, যে ভ্রাতৃত্ববোধ সেটা আমাকে প্রত্যেকটা মুহূর্তে অনুভব করায়। এই পরিবারের সদস্য হতে পেরে কতটা ভাগ্যবান আমি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলো কেমন হবে সেটা নিয়ে প্রথমে ভয় এবং কৌতুহল দুটোই ছিল। কিন্তু আমাদের সিনিয়ররা যেভাবে আন্তরিকতার সাথে আমাদের গ্রহণ করেছেন, যেটা সত্যিই আনন্দের।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আমার আম্মুর স্বপ্ন ছিল। তাই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও আমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কেই আপন করেছি। নতুন হলেও ইতিমধ্যেই শিক্ষা, সংস্কৃতি, সংগ্রাম, মননশীলতা, আধুনিকতায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ এটি। অনেকেই আবার বলে থাকেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নতুন এটা তোমাকে কিছুই দিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে বলবো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেমন শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্ব থাকে তেমনই শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি কিছু দায়িত্ব থাকে।

আমি এখান থেকে শুধু নিতে আসিনি, শিক্ষার্থী হিসেবে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করতে চাই।শুধু দক্ষিণ বঙ্গের নয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় একদিন পুরো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ হবে এটাই আমার স্বপ্ন। বসন্তের অরুণ রঙের পলাশ আর শরতের শুভ্র কাশফুলের সৌন্দর্যমন্ডিত এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে সবার প্রথম প্রেম এটাই প্রত্যাশা। পরিশেষে যেটা না বললেই নয়, আমি গর্বিত এই পঞ্চাশ একরের পরিবারে একজন সদস্য হতে পেরে।

চট্টগ্রামে সন্দ্বীপ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মাসুদ ইসলাম বলেন, জীবনে অনেক অনুপ্রেরণা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে আমি আজ এই অবস্থানে এসেছি। কিন্তু এই অবস্থানে আসার পর দেখলাম এটা একটি মুক্ত এবং বিদ্যা অর্জনের স্থান। এর পরিবেশটা অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত না, এটা পুরোটা ভিন্ন।

এখানের পরিবেশে হতে মানুষ শিক্ষা নিয়ে একজন পরিপূর্ণ মনুষ হিসেবে গড়ে উঠেতে পারবে। কিন্তু আমি এই রকম একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবো তা একবছর আগে চিন্তাও করিনি। কিন্তু আমার কলেজ শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা আমাকে এই অবস্থানে নিয়ে এনেছে। এখানে সিনিয়র ভাইদের সহায়তা আর শিক্ষকদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের অনুপ্রেরণা আমাকে আশা করি আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বান্দরবান থেকে ভর্তি হওয়া মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষের অনেক স্বপ্ন থাকে। সে স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজন পড়ালেখার জন্য একটা ভালো পরিবেশ। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভাল একটি পরিবেশে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছি। আমি মনে করি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দেশের অন্যতম। যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কীর্তনখোলা নদী।

ক্লাস করার উদ্দেশ্য ২৭ ফেব্রুয়ারি যখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম তখন বড় ভাই ও আপুরা আমাদেরকে বরণ করে নিল গোলাপ দিয়ে। এতে তাদের প্রতি জন্মেছে এক ভালবাসা। যা আজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে। আজ আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদেরকে বরণ করে নেওয়ার পর আমরা করেছিলাম পরিচিতি পর্ব। যেখানে দেখলাম দূর-দুরান্তে সব বন্ধু-বান্ধুবীরা। এখানে না আসলে হয়তো কারো সাথে পরিচিত হতে পারতাম না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence