‘ছাত্রলীগ না করায়’ শিক্ষার্থীকে মারধর: তদন্ত প্রতিবেদন জমা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২২, ০৭:৫২ AM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২২, ০৭:৫২ AM
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ছাত্রলীগ না করায়’ এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সাইফুল কবির বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এটি সিলগালা অবস্থায় আছে। নিয়ম অনুসারে শৃঙ্খলা কমিটি ছাড়া তা খোলা যাবে না। রোববার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে। তারা এটি পড়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে দোষীদের বিচারের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ওপর আস্থা রেখে চলমান আন্দোলন আগামী রোববার (৬ মার্চ) পর্যন্ত স্থগিত করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘোষণা দেন তারা। অনশন কর্মসূচিতে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: আন্দোলন স্থগিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ জালাল উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. তপন কুমার সরকার, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের প্রধান আজিজুল হক, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাগ্রতা প্রকাশ করে আন্দোলন স্থগিত করার দাবি জানালে শিক্ষার্থী তাতে সম্মত হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয় তারা।
জানা যায়, রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদ নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের রাজনীতি না করায় নিহাদকে নির্যাতন করা হয়। হত অবস্থায় নিহাদকে ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠান।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন বিবি রাসেল-তারিক আনাম
পরে এ ঘটনায় সোমবার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার, সদস্য সচিব প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান ও সদস্য ছাত্র উপদেষ্টা ড. তপন কুমার সরকার। আগামী তিন কার্যদিবসে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।