নতুন আরও দুটিসহ দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫২

  © লোগো

দেশে নতুন করে আরও দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হবে নওগাঁয় ও আরেকটি ঠাকুরগাঁওয়ে। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫২। এছাড়া দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৮টি।

তথ্যমতে, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ মূলত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে- সরকারি (সরকারি মালিকানাধীন), বেসরকারি (বেসরকারি মালিকানাধীন) এবং আন্তর্জাতিক (আন্তর্জাতিক সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত)। ১৯১৭ সালে ঢাকা ও রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়, যার প্রমাণ পাওয়া যায়, গোপন মার্কিন নথিতে।

পরবর্তীতে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৫৩ সালে। দেশে শুধুমাত্র ৪টি স্বায়ত্বশাষিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রস্তাবিত নওগাঁয় ও ঠাকুরগাঁওয়ে এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন। আর মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সচিবালয়ে সভায় অংশ নেন।

পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ আইন, ২০২২ এবং ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২ খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের মতোই হবে এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন।

প্রধানমন্ত্রী নওগাঁ জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‌‌এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আইনটি আনা হয়। এখানে ৫৬টি ধারা হয়েছে। অন্যান্য আইনের মতোই। এখানে রাষ্ট্রপতি আচার্য হবেন, উনি স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দু-জন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন থাকবেন ট্রেজারার। উনারা প্রকৃতপক্ষে দেখাশুনা করবেন। এছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানে একটি তহবিল থাকবে, রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য বিধি-প্রবিধি করে নিতে পারবেন। বিধি ও প্রবিধিতে সবকিছু ডিফাইন করা হবে।

একইভাবে ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেটি করা হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনটিও একই।

এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে ৫২টি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ১০৮টি বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।  

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ ও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন রকমের অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভা থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়টি তারা দেখবেন, নোট রাখছেন।


সর্বশেষ সংবাদ