কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার দেয়ার দাবি কুবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৫২ PM , আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৫২ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ। বুধবার (১৯ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পৃথকভাবে লেখা এ স্মারকলিপি নিয়ে বর্তমান রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে তারা অবস্থা করেন। এসময় তারা শিক্ষক থেকে হওয়া বর্তমান রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ও আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ফেডারেশনের দাবির সাথে একমত পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের থেকে 'রেজিস্ট্রার' পদের দায়িত্বের দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসির চিঠি
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, অনেক সিনিয়র কর্মচারী পদোন্নতি না পেয়ে জুনিয়র হয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াত-বিএনপির কর্মকর্তাদের পদে নিয়োগ প্রদান করে তাদের দ্রুত পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে ব্যক্তিগত সখ্যতা গড়ে তুলে আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
তবে উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার হোসাইন মোর্শেদ ফরহাদ বলেন, উপাচার্য দপ্তরে কোনো স্বারকলিপি দেয়া হয়নি।
কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, কিছু দাবি-দাওয়াসহ কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার দেয়ার বিষয়ে আমরা উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছি। তবে রেজিস্ট্রার রুমের সামনে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার সাথে রেজিস্ট্রারের কোনো সম্পর্ক নাই। কেন রেজিস্ট্রারের রুমের সামনে অবস্থান করেছে সেটা আমি জানিনা।
আরও পড়ুন: এবার নার্সিং ইনস্টিটিউটের ৫২ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত
এ বিষয়ে কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার অপসারণের দাবি জানিয়েছি। বর্তমান রেজিস্ট্রার গত চার বছর ধরে আমাদের কোনো দাবি দাওয়া পূরণ করেননি। দেড়-দুই বছর ধরে আমাদের ঘুরাচ্ছেন। আমাদের দাবি কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার দিতে হবে।
তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দীপক মজুমদার বলেন, প্রায় তিন বছর যাবৎ আমাদের পদোন্নতি ও নীতিমালা প্রয়োজনীয় সংশোধনে বিভিন্ন অযুহাতে কালক্ষেপণের মাধ্যমে কর্মচারীদের মধ্যে অসুন্তুষ্ট সৃষ্টি করেছেন। এই অসুসন্তুষ্টর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দায়ী বলে মনে করেন। আমাদের দাবী যদি তিন কর্মদিবসের মধ্যে মানা না হয় তাহলে চতুর্থ কর্ম দিবস থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবো।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার কোনো সিলেবাস নেই: ঢাবি ভিসি
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, তারা উপাচার্য বরাবর কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে স্বারকলিপি দিয়েছে বলে তারা দাবি করেছে। এখানে পদোন্নতি নীতিমালা সংক্রান্ত দাবি রয়েছে। এগুলো আমি উপাচার্যের সাথে আলোচনা করবো। এছাড়া তারা স্বারকলিপিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। মানহানিকর মন্তব্যের বিষয়ে আমি নিয়মানুয়ী পদক্ষেপ নেব।