স্বামীসহ ববি ছাত্রীকে মারধর, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৮ AM , আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০৩ AM
বহিরাগত এক ছেলের লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক ছাত্রী ও তার স্বামী। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে চলাচলের সময় জয় নামের এক স্থানীয় ছেলে দলবল নিয়ে ঐ ছাত্রী এবং তার স্বামীকে ইচ্ছাকৃতভাবে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত জয় পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে৷
আর এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহেল জানান, শিক্ষক ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নিলেও ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। সেই অনুযায়ী বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার মধ্যে লিটন মেম্বার ও জয়কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা হলে নতুন করে আন্দোলনের পথ বেছে নিবে শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, বেশ কয়েকজন লোক যখন ওই ছাত্রী ও তার স্বামীকে হেনস্থা এবং মারধর করছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে আমরা সেখানে যাই এবং ওই ছাত্রীর পক্ষে অবস্থান নেই। এসময় মেম্বার লিটন ও জয় আমাদের ওপরও চড়াও হয়, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা চলে আসলে হামলাকারীরা সরে যায়। এরপর গোটা বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং মেম্বার লিটন ও জয়ের গ্রেফতার দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে। যদিও কিছু সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. শিহাব আহমেদ জানান, ভুক্তভুগী আপু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী, প্রায় একশত মানুষের মাঝে তাদের দুজনকে মারধর করে জয় এবং এলাকার ইউপি মেম্বর সেটি ভিডিও ধারণ করে ফেসবুক ছড়িয়ে দেয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, আমরা খবর পেয়েই ক্যাম্পাসে আসি৷ আসামীকে ধরার জন্য ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে৷
উল্লেখ্য, জয়ের বিরুদ্ধে এর আগেও বিশ্ববিদ্যিলয়ের ছাত্রীদের উত্যক্ত এবং লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে৷