সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনের সঙ্গে কমেছে ভর্তিচ্ছুও

 বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত ছবি

দেশের ৪৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা কমেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে আসন কমেছে ৭ হাজার ৭৭৬টি। একই বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১৮ হাজার ৭২৩ জন। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২০ সালে প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৪০৫টি। এরমধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৯৫৪ জন। ২০১৯ সালে ছিল ৪৭ হাজার ১৭১টি। এরমধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৬৭৭ জন।

আরও পড়ুন: জাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ও প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত ৪৩ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের (স্নাতক) পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৪০৫ টি, এরমধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৯৫৪ জন; মাস্টার্স ২০ হাজার ৩১২ টি আসনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ১৬ হাজার ৭০ জন। স্নাতক (পাস)/ স্নাতক (সম্মান) স্নাতকোত্তর, এমফিল/ পিএইচডি এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা/ সার্টিফিকেট অন্যান্যসহ আসন সংখ্যা ৬৪ হাজার ১৮৫টি তার মধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ২১১ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৮১ টি আসন শূন্য ছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস)/ স্নাতক (সম্মান)/ স্নাতক কারিগরি/সমমান পর্যায়ে আসন সংখ্যা ১০,৯৩,৮১১টি এবং ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৮,৭১,৩৮২ জন, আসন শূন্য ছিল ২৪ হজার ৬৯৪টি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ও কারিগরি আসন সংখ্যা ২,২২,১১২ টি, এর মধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২,২২,১১২ জন।

আরও পড়ুন: টিকার সনদ ছাড়া মার্কেটে প্রবেশ নয়, ট্রেন-প্লেন-লঞ্চেও না

ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ সালের তথ্যানুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ও প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতক সম্মান পর্যায়ে প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা ৪৭ হাজার ১৭১টি; এরমধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৬৭৭ জন, মাস্টার্স পর্যায়ে ৩১ হাজার ১৮৬টি আসনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৩১ হাজার ৮২২ জন। স্নাতক পাস/স্নাতক সম্মান, মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটসহ ৮২,৬১৩টি; এরমধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০ হাজার ২০৮ জন। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যার অতিরিক্ত ভর্তি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৮৪ জন। অন্যদিকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ হাজার ২টি আসন শূন্য ছিল।

আরও পড়ুন: কৃষি দেশের মূল চালিকা শক্তি: যবিপ্রবি উপাচার্য

ইউজিসির প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস)/ স্নাতক (সম্মান)/ স্নাতক কারিগরি/সমমান পর্যায়ে আসন সংখ্যা ৮,৭২,৮১৫টি এবং ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৬,৪৯,০৭২ জন, আসন শূন্য ছিল ২,২৩,৭৪৩টি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ও কারিগরি আসন সংখ্যা ২,৫৮,৫৩১টি; এরমধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২,২২,১১২ জন, আসন শূন্য ছিল ৩৬,৪১৯টি। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (কারিগরি/সমমান) পর্যায়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৭৭ হাজার ৭৫৬ জন। মাস্টার্স ও কারিগরি পর্যায়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৩৫৩ জন।

এদিকে, ২০২০ সালে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৭৮১টি আসন শূন্য ছিল। আর ২০১৯ সালে আসন শূন্য ছিল ২২ হাজার ২টি।


সর্বশেষ সংবাদ